শাল্লায় সহকারী প্রিজাইডিংসহ ৪ জন জেল হাজতে, দুই চেয়ারম্যান সমর্থকদের সংঘর্ষ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ মে ২০২৪, ৫:৫০:০১ অপরাহ্ন
শাল্লা প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের শাল্লায় সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ ৫ জনকে টাকাসহ গ্রেফতারের পর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত অপু দাস কান্দাগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।
ভোট গ্রহণের আগের রাতে কান্দাগাও কেন্দ্র থেকে তাদেরকে আটক করার পর থেকে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা চলছিল। এর জের ধরে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা নির্বাচনে চব্বিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অবনী মোহন দাস (ঘোড়া) ও উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি (বহিস্কৃত) ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গণেন্দ্র চন্দ্র সরকার (আনারস) প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়েছে।
সকাল দশটায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে এলাকায় দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট ও বিজিবি তাৎক্ষণিক উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এর আগে রাতে চব্বিশার অন্য একটি কেন্দ্রের একজন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারসহ পাঁচ জনকে আটক করে থানায় নেয়া হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি ও সাবেক শাল্লা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান অবনী মোহন দাস (ঘোড়া) প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে টাকা বিতরণকালে স্থানীয় জনতা আটক করে ইউপি সদস্যের বাড়িতে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে শাল্লা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
শাল্লা থানাব অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, যাচাই বাছাই করে চারজনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে, তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে, রাতে ৫ জন আটকের পর থেকেই ছাব্বিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সকাল দশটায় সংঘর্ষ হয়।
সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোঃ এহসান শাহ বলেন, রাতে এক প্রার্থীর পক্ষে টাকা বিতরণকালে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ ৫ জনকে আটক করা হয়। সকালে ছাব্বিশা কেন্দ্রের বাইরে দু পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। এছাড়া দিরাই ও শাল্লা উপজেলার সকল কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।