ইন্দো-বাংলা বসন্ত রাস উৎসব উপলক্ষে কর্মশালা সম্পন্ন
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ মে ২০২৪, ৫:৫৯:৪১ অপরাহ্ন
সিলেটে ইন্দো-বাংলা বসন্ত রাস উৎসব উপলক্ষে চার দিন ব্যাপী কর্মশালা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। ভারতের মণিপুরের রাজর্ষি ভাগ্যচন্দ্র কালচারাল ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশের একাডেমি ফর মণিপুরি কালচার অ্যান্ড আর্টস (এমকা) সিলেটের যৌথ আয়োজনে বসন্ত রাস, মণিপুরি নটসংকীর্ত্তন, অরাংফম, মোইবুং, পোৎলই ও পুজার চার দিনব্যাপী কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদ প্রদান ও ভারত থেকে আসা অংশগ্রহণকারীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
শনিবার সকাল ১১টায় সিলেট নগরীর সাগরদিঘীর পাড় এলাকার এমকা ভবনে এ আয়োজন হয়। শনিবার রাতে নগরীর মণিপুরি রাজবাড়ির শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু ম-পে অনুষ্ঠিত হয় ‘ইন্দো-বাংলা বসন্ত রাস উৎসব’। আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন।
সংবর্ধনা ও সনদপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার চন্দ্র শেখর। এমকার সভাপতি দিগেন সিংহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য রনজিত চন্দ্র সরকার, ভারতের সহকারী হাইকমিশনারের দ্বিতীয় সচিব মানস কুমার মুস্তাফি, ভারতের মণিপুর রাজর্ষি ভাগ্যচন্দ্র কালচারাল ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা ব্রহ্মচারীময়ুম্ আমুসানা শর্মা।
সভার শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন এমকার সাধারণ সম্পাদক ও নৃত্য পরিচালক জি শান্তনা দেবী ও ভারতের মণিপুর রাজর্ষি ভাগ্যচন্দ্র কালচারাল ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক থকচম ধানা কুমার সিংহ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সিলেটের নাট্যজন উত্তম সিংহ রতন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মণিপুরি নৃত্য শান্ত, ¯িœগ্ধের সমন্বয়ে মাধুর্য্যতা রয়েছে। এ নৃত্যশৈলী সর্বজনের কাছে প্রিয়। মণিপুরি নৃত্য সারা বিশে^ সমাদৃত। আরও প্রচার প্রসারের জন্য কর্মশালার প্রয়োজন রয়েছে। এ জন্য মণিপুরি নৃত্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের আরও নিবিড় ভাবে কাজ করার আহ্বান জানান বক্তারা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের উত্তরীয় ও ফুল দিয়ে বরণ করে নেন এমকার নৃত্য শিল্পীরা। অতিথিরা ভারত থেকে আগত ইন্দো-বাংলা বসন্ত রাস উৎসবে অংশগ্রহণকারী ২৩ জন প্রতিনিধিকে এমকার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা স্মারক ও কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সমেন্দ্র সিংহ। বিজ্ঞপ্তি