কাঙ্খিত দাম নেই ধানে, অসন্তুষ্ট কৃষক
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ মে ২০২৪, ৭:৪৬:৫৪ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ এখন শুন্য। কৃষকের উগারে উগারে ধান। এতদিনের পরিশ্রম শেষে কৃষকেরা এখন ধান বেচায় ব্যস্ত। তবে তারা কাংখিত দাম না পেয়ে হতাশ। প্রাকৃতিক দুর্যোগের শঙ্কা নিয়ে দ্রুত ফসল ঘরে তোলেছেন কৃষকেরা। যদিও কয়েকদিন বৃষ্টিতে কিছুটা ছন্দপতন ঘটে ধান কাটায়।
শাল্লা উপজেলার ছায়ার হাওরের কৃষক মুজিবুর জানান, চলতি মৌসুমে প্রত্যাশায় প্রাপ্তি যোগ হয়েছে ধানের ফলনে। গেল বছরের তুলনায় এবছর ধানের ফলন হয়েছে ভালো। জমি অনুযায়ী কেয়ার প্রতি ২০ থেকে ২২ মণ ধান পাওয়া গেছে। আবার কোনো মাঠে কেয়ার প্রতি ২৮ মণ ধান পেয়েছে কৃষক। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে ছিল এবং পোকার আক্রমণও ছিলনা।
দেখার হাওর এলাকার কৃষক শহিদুল ইসলাম জানান, দিন দিন বাড়ছে বিদ্যুতের দাম। বাড়ছে সার, কীটনাশক এবং শ্রমিকের মজুরি। সব মিলে দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে চাষাবাদের উৎপাদন খরচ। এক কেয়ার জমি প্রস্তুত থেকে শুরু করে, ধান রোপণ, আগাছা পরিষ্কার, সার কীটনাশক ও পানি সেচ এবং ধান কেটে ঘরে তোলা পর্যন্ত খরচ হয় ১৫ হাজার টাকা। আর এক কেয়ার জমির ধান বেচে পাওয়া যায় ২০ হাজার টাকা। ৩ মাস কষ্ট করে এত অল্প লাভে কৃষকের চাষাবাদ করা লোকসান।
সদর উপজেলার কয়েকটি গ্রামে গিয়ে দেখা যায় প্রতিমন ধান পাইকাররা ৯০০ টাকা ধরে কিনছেন। চাষিরা বলছেন এই দামে ধান বিক্রি করে লাভ হবে না। নিরুপায় হয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম জানান, চলতি মৌসুমে ধানের চাষ হয়েছে ২ লাখ ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন হয়েছে ভালো। পোকা-মাকড়ের আক্রমণ ছিল কম, ফলে কীটনাশকের ব্যবহার লেগেছে অল্প। কৃষি শ্রমিকের পাশাপাশি কৃষি বিভাগ কম্বাইন হারভেস্টার মিশন দিয়ে ধান কাটতে কৃষকদের সহযোগিতা করছে। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো থাকায় কৃষক সুন্দরভাবে ধান কাটতে পারছে।