বর্ধিত সময়সীমাও শেষ : ভিসা হয়নি ৩৮% হজযাত্রীর
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ মে ২০২৪, ৮:১৮:৫৭ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : হজযাত্রীদের ভিসা আবেদনের বর্ধিত সময়সীমা শেষ হয়েছে শনিবার। তৃতীয় দফায় সময়সীমা বাড়ালেও শেষ দিন পর্যন্ত ৩৮ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা কার্যক্রম শেষ হয়নি। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ভিসা আবেদন শেষ না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন হজ এজেন্সি ও হজযাত্রীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এ বছর নিবন্ধিত হজযাত্রীর সংখ্যা ৮৩ হাজার ২১৮ জন। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৮৯৯ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। সেই হিসাবে এখনো ৩৮ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা হয়নি। অর্থাৎ ভিসা পাননি ৩১ হাজার ৩৫৮ জন হজযাত্রী।
এদিকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯০ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা কার্যক্রম শেষ হলেও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ভিসা কার্যক্রম শেষ হয়েছে ৬২ শতাংশ হজযাত্রীর। এর জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়কে দায়ী করছেন এজেন্সি মালিকরা। এজেন্সি মালিকদের প্রত্যাশা রোববারের মধ্যে সবার ভিসা কার্যক্রম শেষ হওয়ার কথা।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, শনিবারের মধ্যে বেশিরভাগ হজযাত্রীর ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া কথা রয়েছে। অল্প কিছু বাকি থাকলে, সেটাও করার জন্য দুই-একদিন সময় পাওয়া যাবে। তাই ভিসা জটিলতায় কেউ হজে যেতে পারবেন না, এমনটা হওয়ার সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে গলফ ট্রাভেলস হজ এজেন্সির মোনাজ্জেম জসিম উদ্দীন বলেন, ‘আমাদের এজেন্সি থেকে মোট হজযাত্রীর সংখ্যা ৩৩৯। তার মধ্যে ৮০ জনের ভিসা কার্যক্রম এখনো শেষ হয়নি। আমরা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করছি। তারা জানিয়েছে, শনিবার বা রোববারের মধ্যে এই ৮০ জনের ভিসা কার্যক্রম শেষ হবে।’
যদি ভিসা কার্যক্রম শেষ না হয় সে ক্ষেত্রে আপনাদের পদক্ষেপ কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা মন্ত্রণালয় বুঝবে। আমরা টাকাসহ সব কাগজপত্র জমা দিয়েছি। এখন ভিসা না হওয়ার কিছু নেই।’ ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘কয়েকটি এজেন্সির গাফিলতির কারণেই এ দুর্দশা। তবে সেটি দ্রুতই কেটে যাবে।’
হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতির দাবি, সৌদিতে বাড়ি ভাড়ার জন্য সঠিক সময়ে এজেন্সি মালিকদের ভিসা নিশ্চিত করতে পারেনি ধর্ম মন্ত্রণালয়। তবে তার প্রত্যাশা শেষ পর্যন্ত সংকট থাকবে না, হজে সবাই যেতে পারবেন। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ মে থেকে এখন পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, সৌদি এয়ারলাইনস ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইনসের মাধ্যমে ৫ হাজার ১৮২ হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীর সংখ্যা ২ হাজার ৫০০। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ২ হাজার ৬৮২ জন।
২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্নের নির্দেশনা দিয়েছিল ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এরপর সময়সীমা ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ভিসা আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়ে ১১ মে করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হজযাত্রীর ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে দায়দায়িত্ব বহন করতে হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।