অস্বস্তিকর গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ, সিলেটে তাপমাত্রা ৩৬. ৪
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ মে ২০২৪, ৯:২০:৪০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: মাঝে কয়েকদিন স্বস্তির পর আবারও গরম বাড়তে শুরু করেছে। এরআগে সারাদেশে গরম থাকলেও সিলেটের চিত্র ছিল আলাদা। কিন্তু এবার সিলেটেও লোকজন গরমে অতিষ্ঠ। মঙ্গলবার সিলেটে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল বলে জানিয়েছে সিলেট আবহাওয়া অফিস। তাপমাত্রা ৩৬ এর উপরে থাকলেও অনুভূতির কোটা ৪২ এর ঘরে দেখা গেছে। হঠাৎ করে এমন গরমে নাজেহাল অবস্থা মানুষের। এরমধ্যে আবার আবহাওয়া অধিদপ্তর তাপমাত্রা বাড়ার আভাস দিয়েছে। অপরদিকে হিন্দুস্তান টাইমস ও জি নিউজ চলতি মাসের শেষের দিকে আইলার চেয়ে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত হানার শঙ্কা প্রকাশ করেছে। এরআগে ২০০৯ সালের ২৫ মে সুন্দরবনে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আইলা।
গরমের ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তর বুধবার থেকে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে। সেইসঙ্গে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে বলে জানায় তারা।আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, আগামী কয়েক দিন বৃষ্টি কমে গরম বাড়তে পারে। এতে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে তাপপ্রবাহ থাকতে পারে। একই সঙ্গে টাঙ্গাইল, রাজশাহী, পাবনা, যশোর, নীলফামারী, রাঙ্গামাটি ও ফেনী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে ১৯ মে বৃষ্টি শুরু হয়ে কয়েক দিন স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা আছে। মাসের বাকি সময় বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ ও বৃষ্টি দুই ধরনের প্রবণতা দেখা যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী সপ্তাহে আরেক দফা টানা বৃষ্টি শুরু হতে পারে। মূলত ১৯ মে বৃষ্টি শুরু হয়ে তা কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে। তখন তাপমাত্রা কমে কিছুটা স্বস্তি ফিরতে পারে। বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া চলতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা: এদিকে মঙ্গলবার এক তথ্যে হিন্দুস্তান টাইমস ও জি নিউজ জানিয়েছে ২০২৪ সালের ২৫ মে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সেই আইলার চেয়ে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে। এরআগে ২০০৯ সালের ২৫ মে সুন্দরবনে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আইলা।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, মে মাসের দ্বিতীয় ভাগে সমুদ্রে তৈরি হতে পারে একটি ঘূর্ণিঝড়। মে মাসের শেষের দিকেই আছড়ে পড়তে পারে সেটি। এই ঘূর্ণিঝড়টি শেষ পর্যন্ত তৈরি হলে তার নাম হবে রেমাল। অবশ্য এই ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া দপ্তর সরকারিভাবে এখনও কিছু জানায়নি।
আগামী ২০ মে থেকে এই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ স্পষ্ট হতে পারে। ওই দিন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে একটি ঘূর্ণাবর্ত। সেটি সোজা উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে। এরপর ২৪ মে সেটি ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিতে পারে। এরপর ২৫ মে সন্ধ্যার পর সেটি পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশ দিয়ে ভূভাগে প্রবেশ করতে পারে অনুমান করা হচ্ছে। তবে সেই ঝড়ের গতিবেগ কতটা থাকবে, বা কতটা ক্ষয়ক্ষতি হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর নামকরণ করেছে ওমান। আরবিতে এর অর্থ বালি।