চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগুতে পারলে বাংলাদেশী আইনের ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল : ব্যারিস্টার নাজির
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ মে ২০২৪, ৬:২৭:০৬ অপরাহ্ন
বৃটেনের প্রতিথযশা আইনজীবী ব্যারিস্টার নাজির আহমদ বলেছেন, গ্লোবাল ভিলেজে কোন দেশই আজ আইসোলেটেড আইল্যান্ড নয়। এক দেশের সাথে অন্য দেশ বিভিন্নভাবে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক প্রায় সব কটি আইন, কভোনেন্ট ও কনভেনশনের সিগনেটরী। বাংলাদেশের একটি সমৃদ্ধ সংবিধান আছে। আইনের শাসন পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হলে কমন ল’ বিশ্বের জন্য বাংলাদেশ এক মডেল হতে পারে। আর আইনের শাসন সমাজে পুরোপুরি প্রতিষ্ঠায় আইনের ছাত্রছাত্রীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি বুধবার সিলেটে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে Navigating the Global Legal Arena: Challenges and Opportunities in International Law Practice শীর্ষক সেমিনারে কী-নোট স্পিকার হিসেবে বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
ব্যারিস্টার নাজির আহমদ বলেন, উত্তোরাধিকার সূত্রে বাংলাদেশ বৃটিশ থেকে কমন ল’ সিস্টেম পেয়েছে। ইংরেজী ভাষার সাথে বাংলাদেশের শিশুরা অনেকটা জন্মের পর থেকেই পরিচিত। বাংলাদেশি আইনের ছাত্রছাত্রীরা একটু কমিটেড ও ডিটারমিন্ড হলে, তারা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারলে, তাদের সেক্রিফাইসিং ও লার্নিং মেন্টালিটি থাকলে তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভাল করতে পারবে।
বাংলাদেশ ও বৃটেনের আইনের প্রধান সামঞ্জস্য ও পার্থক্যসমুহ ব্যাখ্যায় বিভিন্ন উদাহরণ টেনে ব্যারিস্টার নাজির বলেন, বৃটেনে আইন সবার জন্য সমান। সাবেক সিটিং প্রাইম মিনিষ্টার বরিস জনসনকে কোভিড-১৯ রুল ভঙ্গের জন্য পুলিশ জরিমানা করেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তাঁর অপ্রাপ্ত বয়স্ক পুত্রের অপরাধের জন্য ছেলেকে থানায় গিয়ে মুচলেকা দিয়ে ছুটিয়ে আনতে হয়েছে। অন্য আরেক বার প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী টিকেট না কেটে ট্রেন চড়লে তাকে টিটি জরিমানা করে।
সেমিনারে কয়েক শত ছাত্রছাত্রী যোগদান করেন। প্রায় ঘন্টাব্যাপী ইংরেজীতে বক্তৃতার পর ব্যারিস্টার নাজির আহমদ ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এতে আরও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ল-এর এসোসিয়েট প্রফেসর শেখ আশরাফুর রহমান ও আইন এবং বিচার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গাজী সাইফুল হাসান। সেমিনার মডারেট করেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ল’ স্টুডেন্টস ফোরামের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কামরান হোসাইন। বিজ্ঞপ্তি