ক্যান্সার আক্রান্ত স্কুলছাত্র দিপ্ত বাঁচতে চায়
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ মে ২০২৪, ৭:৪৭:২০ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জ পৌর শহরের সরকারী জুবিলী উচ্চবিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র দিপ্ত সরকার মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে সুনামগঞ্জ পৌরসভার ষোলঘর এলাকার বাসিন্দা ক্ষৌরকার পবন সরকারের ছেলে। দিপ্ত সরকার মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রায় চার বছর ধরে দেশে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। বর্তমানে ভারতের ব্যাঙ্গালুর ব্যানারঘাটা রোড আরটিনগরের মেডাক্স হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
তার স্বজনরা জানান, ২০২০ সালের মার্চ মাসের প্রথম দিকে খেলাধুলা করতে গিয়ে ক্রিকেট বল পড়ে যায় একটি পাথরকাটার মেশিনের ভেতরে। বল আনতে গিয়ে দিপ্ত সরকার মেশিনের ভেতরে হাত ঢুকায়। এ সময় তার বাম হাতের তিনটি আঙ্গুলে চাপ লেগে মাংস থেতলে যায় এবং এরমধ্যে একটি আঙ্গুল কেটে আলাদা হয়ে যায়। ওই সময় করোনা মহামারিতে লকডাউনের কারণে দিপ্ত সরকারকে সঠিক চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি। পরে এই তিন আঙ্গুলসহ হাতের কব্জিতে ফুটো দেখা দেয়। করোনা মহামারির ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন সময় সুনামগঞ্জ, সিলেট ও ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে অনেকটা বিলম্ব হয়ে যায়। অবশেষে দিপ্ত সরকারের হাতে ক্যান্সার ধরা পড়ে। চিকিৎসকের পরামর্শ- দিপ্ত সরকারের হাত কাটতে হবে কনুইয়ের নিচে। এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি তখন পরিবারের লোকজন। পরে চিকিৎসকরা দিপ্ত সরকারের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভারতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। চলতি বছরের ২ এপ্রিল ভারতের ব্যাঙ্গালুর ব্যানারঘাটা রোড আরটিনগরের মেডাক্স হাসপাতালে দিপ্ত সরকারকে ভর্তি করানো হয়। সেখানেও চিকিৎসা রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকেরা হাত কেটে ফেলার পরামর্শ দেন। অবশেষে তার হাত কেটে ফেলা হয়।
এদিকে, দিপ্ত সরকারের চিকিৎসায় চলে গেলো প্রায় চার বছর। চিকিৎসার জন্য সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে পরিবারটি। কিন্তু এখনও সুস্থ হয়ে উঠতে পারছে না দিপ্ত। তার সুস্থ হতে আরও কয়েক লক্ষ টাকার প্রয়োজন। মঙ্গলবার দুপুরে দিপ্ত সরকারের চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ পৌর মেয়রের কাছে আর্থিক সহায়তা চান তার মা পঞ্চমী দাস। তখন মেয়র নাদের বখত ১৫ হাজার টাকার একটি চেক তোলে দেন পঞ্চমী দাসের হাতে।
দিপ্ত সরকারের মা পঞ্চমী দাস জানান, আমি এই শহরের অনেকের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়েছি। আমার ছেলের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা চাই। সে যেন আমাদের মাঝে সুস্থ হয়ে ফিরে আসে।