টানা তিনদিন তাপমাত্রার উর্ধ্বগতি, সিলেটে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭.২ রেকর্ড
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ মে ২০২৪, ৮:২২:২০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: টানা তিনদিন ধরে সিলেটে তাপমাত্রার পারদ উপরের দিকে। অবশেষে বুধবার ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড ছুঁলো পূণ্যভূমি। যা এ পর্যন্ত সিলেটে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এরআগে বুধবার ৩৬ দশমিক ৪ এবং মঙ্গলবার ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল সিলেটের তাপমাত্রা। এ নিয়ে সারাদেশের মতো এবার গরমের তাপে পুড়ছে সিলেটেও। কিছুদিন আগে সারাদেশে লোকজন গরমে অতিষ্ঠ থাকলেও সিলেটের অবস্থা ছিল ভিন্ন। গরম কম আর রাতের বৃষ্টিতে সিলেট ছিল সিক্ত। তবে এবার আর তা দেখা যাচ্ছে না।
তীব্র গরমে জনজীবনে নেমেছে নাভিশ^াস। স্কুলগামী কোমলমতিদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। গরমের জন্য আগে স্কুল তাড়াতাড়ি ছুটি হয়ে গেলেও এবার পুরোদমে ক্লাস চলছে। অনেক শিশু ক্লাসে গরমে বমি করে অসুস্থ হয়ে গেছেন বলে অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন। তীব্র গরমে থেকে নেই গাছ নিধনও। নগরীর দাড়িয়াপাড়ার বাসিন্দা ইলিয়াস মিয়া বলেন আমাদের পাশের বাসায় একসময় অনেকগুলো বড়ো বড়ো গাছ ছিল। সেই গাছের ছায়ায় আমাদের পুরো বাসা ছায়াঢাকা থাকতো। গতবছর মালিক গ্যারেজ করবেন বলে সবগুলো ফলদ গাছ কেটে নেন। যদিও গাছ না কেটে গ্যারেজ নির্মাণের সুযোগ ছিল। বাসার একেবারে সাইডে শুধু একটি কাঁঠাল গাছ ছিল। গত মঙ্গলবার সেই গাছও একেবারে ছাটিয়ে খালি করে ফেলেছেন। ইলিয়াস বলেন এভাবে অনেক বাসায় অপ্রয়োজনে গাছ কাটা হচ্ছে। রাস্তার জন্য গাছ কাটা হচ্ছে। এভাবে গাছ কাটলে গরম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।
এদিকে দেশজুড়ে বয়ে যাওয়া মৃদু ও মাঝারি ধরনের এই তাপপ্রবাহ আগামী শনিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে সঙ্গে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলে জানায় তারা। তাছাড়া বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে বলেও জানানো হয়েছে
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, সিলেট, চট্টগ্রাম, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে যে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছ তা অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। তাপপ্রবাহ চলমান থাকা অবস্থায় সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। তিনি বলেন, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর ফলে তাপপ্রবাহ শেষে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা রয়েছে। তখন দিন ও রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
গরমের কারণে রাস্তায় কমে গিয়েছে লোকজনে চলাচল। তাছাড়া অন্যান্য দিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার বিদ্যুতের লোডশেডিং ছিল অনেক বেশি। দুপুর থেকে থেমে থেমে বেশ কয়েকবার চলেছে বিদ্যুতের যাওয়া আসা। গরমে অতিষ্ঠ মানুষের বিদ্যুতের লোডশেডিং কষ্ট বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ।