সিলেটে এক রাতে ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ মে ২০২৪, ৯:৩৫:৩০ অপরাহ্ন
৮ বিভাগে বৃষ্টির আভাস
স্টাফ রিপোর্টার : তীব্র গরমের পর সিলেটজুড়ে বেড়েছে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা। গত ২৪ ঘন্টায় সিলেটে রেকর্ড ১০৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ফলে জনমনে বিরাজ করছে প্রশান্তি। পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়ছে। দেশের সব বিভাগে বৃষ্টির আভাস ও তাপমাত্রা কমার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার দিনে এক পশলা বৃষ্টির পর রাত ৯টা থেকে সিলেটের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। মধ্যরাত থেকে হয় ভারী বৃষ্টি। শনিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত থেমে থেমে হয় বৃষ্টি। এ অবস্থায় রোববার ও সোমবার সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো.সজীব হোসাইন জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘন্টায় (শুক্রবার সকাল ৬ থেকে শনিবার সকাল ৬টা) বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিলো ১০৮.১ মিলিমিটার। আর শনিবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত এই ৩ ঘন্টায় সিলেটে ১মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সবমিলিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় সিলেটে ১০৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এদিকে শনিবার সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকার আকাশ মেঘলা ছিল। এরপর বৃষ্টিও হয়েছে। েেত কিছুটা স্বস্তিতে এসব নগরের বাসিন্দারা। ঢাকা ও সিলেটের মতো সারা দেশেই এমন মেঘলা আকাশ থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে তাপমাত্রা কমবে ১ থেকে ২ ডিগ্রি।
শনিবার বেলা ১১ টায় দেওয়া ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শনিবার থেকে সারাদেশে তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি কমে আসবে। এ ছাড়া আট বিভাগেই বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। যেসব জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা প্রশমিত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির প্রবণতা বাড়বে। একটি লঘুচাপও তৈরি হতে পারে। পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। আগামী পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
ঢাকা, ময়মনসিংহ, মাদারীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।