বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ বিদ্যুতের উৎস্য রোদ ও বাতাস
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ মে ২০২৪, ৯:৫৩:১১ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কমাতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে দেওয়ার পক্ষে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ। ইতিমধ্যে নানা দেশে এ লক্ষ্যে হয়েছে নানা ধরনের নীতিমালা। ফলে বিশ্ব জুড়ে দিন দিন বাড়ছে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের হার। ২০২৩ সালে বিশ্বের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ৩০ দশমিক ৩ শতাংশই এসেছে সৌর ও বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো থেকে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক থিংকট্যাংক সংস্থা অ্যাম্বার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, এই খাতে এই পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনকে ইতিবাচক রেকর্ড। সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে অ্যাম্বার জানিয়েছে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে নবায়নযোগ্য উৎসগুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের হার বেড়েছে। ২০২২ সালে বিশ্বে মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ২৯ দশমিক ৪ শতাংশ সরবরাহ এসেছিল বিভিন্ন নবায়নযোগ্য উৎস থেকে।
সৌর ও বায়ুবিদ্যুতের মতো নবায়নযোগ্য উৎসগুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সবচেয়ে এগিয়ে আছে চীন। ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে সৌর প্রকল্পগুলো থেকে উৎপন্ন মোট বিদ্যুতের ২৩ দশমিক ২ শতাংশ এবং বায়ু প্রকল্প থেকে উৎপন্ন মোট বিদ্যুতের ৯ দশমিক ৮ শতাংশ উৎপাদন করেছে চীন।
বর্তমানে যে গতিতে বিভিন্ন দেশে নবায়নযোগ্য উৎসের প্রকল্পগুলোর বিস্তার ঘটছে, তা অব্যাহত থাকলে চলতি ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ বিশ্ব জুড়ে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা অন্তত ২ শতাংশ কমবে বলে আশা করছে অ্যাম্বার। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি খুবই আশার কথা যে মানুষ এখন উপলব্ধি করতে পারছে যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বৈশ্বিকভাবে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের যুগ শেষ হতে চলেছে। এক সময় বিদ্যুতের জন্য মানুষ সম্পূর্ণভাবে নবায়নযোগ্য উৎসগুলোর ওপর নির্ভর করবে এবং সেদিন বেশি দূরে নেই।
প্রসঙ্গত কয়লা, জ্বালানি তেলের মতো জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বাতাসে প্রতিনিয়ত নিঃসৃত হচ্ছে কার্বন ডাই অক্সাইডসহ বিভিন্ন গ্রিনহাউজ গ্যাস, যা জলবায়ু পরিবর্তন ও উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী। এ কারণে বর্তমানে বিশ্ব জুড়ে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার রোধ করাকে ব্যাপক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। গত বছর দুবাইয়ে জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সম্মেলন কপ ২৮ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই সম্মেলনে অংশ নেওয়া সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে শতাধিক দেশ আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎসগুলো থেকে বিদ্যুতের উৎপাদন তিনগুণ বাড়াতে ঐকমত্যে পৌঁছেছে।