চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে রেস্টুরেন্ট মালিক নেতৃবৃন্দের সভা
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ মে ২০২৪, ৮:৫৪:১৪ অপরাহ্ন
গত ১ মে (মে দিবস) শ্রমিক নামধারী কতিপয় সন্ত্রাসী কর্তৃক সিলেট নগরীর কয়েকটি রেস্টুরেন্টে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, সিলেট জেলা শাখা ও সিলেট জেলা ক্যাটারার্স গ্রুপের নেতৃবৃন্দ দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র নেতৃবৃন্দের সাথে চেম্বার কনফারেন্স হলে এক আলোচনা সভায় মিলিত হন। এতে সভাপতিত্ব করেন সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ।
সভায় রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি ও ক্যাটারার্স গ্রুপের নেতৃবৃন্দ বলেন, হোটেল-রেস্টুরেন্ট সেবামূলক ব্যবসা। জনসাধারণের সুবিধার জন্যই আমরা ছুটির দিনসমূহে রেস্টুরেন্ট খোলা রাখি। কিন্তু প্রতিবছর মে দিবস আসলে রেস্টুরেন্ট শ্রমিক নামধারী কিছু সন্ত্রাসী রেস্টুরেন্ট খোলা রাখতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। রেস্টুরেন্ট মালিকগণ জানান, গত ১ মে শ্রমিক নামধারী এসব সন্ত্রাসী সিলেট শহরের কয়েকটি রেস্টুরেন্টে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। যার ফলে ব্যবসায়ীগণ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। সিলেটে পরিবহন খাত, চিকিৎসা খাত সহ অন্যান্য খাতে আরো অনেক শ্রমিকগণ কাজ করছেন, কিন্তু এরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনা আর কোন খাতে ঘটেনি। তারা মে দিবসে রেস্টুরেন্ট খোলা রাখা এবং সংঘটিত ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের লক্ষ্যে সিলেট চেম্বারের সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়াও ব্যবসায়ীগণ ভ্যাট, ট্যাক্স ও পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক হয়রানি বন্ধের ব্যাপারে চেম্বার সভাপতির সহযোগিতা কামনা করেন।
সভার সঞ্চালক সিলেট চেম্বারের পরিচালক শান্ত দেব জানান, রেস্টুরেন্ট সমূহে ভাংচুর ও হামলার বিষয়ে সিলেট চেম্বারের পক্ষ থেকে জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় অবহিত করা হলে পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং উক্ত ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫ জন কয়েকজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে। এজন্য সভায় পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
সভায় সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ বলেন, সিলেট পর্যটন নগরী। ছুটির দিনে অনেক পর্যটক সিলেটে ঘুরতে আসেন। তাদের সুবিধার জন্য রেস্টুরেন্টসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছুটির দিনে খোলা রাখা প্রয়োজন। বিশ্বের কোন দেশে ছুটির দিনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে না, কর্মচারীরা পর্যায়ক্রমে ছুটি গ্রহণ করে। তিনি গত মে দিবসে সিলেটে ঘটে যাওয়া ঘটনার ব্যাপারে ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, এরকম ঘটনা থেকে পরিত্রাণ পেতে সকলকে একযোগে রেস্টুরেন্ট খোলা রাখতে হবে। চেম্বার সভাপতি আরো বলেন, হামলা-মামলা করে কোন বিষয় সমাধান হয় না এবং যেহেতু শ্রমিকরা আমাদেরই অংশ, সেহেতু শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করেই বিষয়টি সমাধান করতে হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ এমদাদ হোসেন, সহ সভাপতি এহতেশামুল হক চৌধুরী, পরিচালক খন্দকার ইসরার আহমদ রকী, শান্ত দেব, মোঃ রিমাদ আহমদ রুবেল, আরিফ হোসেন, মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি সিলেট জেলা শাখার সভাপতি খালেদ আহমদ, সিলেট ক্যাটারার্স গ্রুপের সহ সভাপতি দেবাশীষ চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন চৌধুরী, সিলেট রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নূরুজ্জামান সিদ্দিকী মুক্তা, সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল ইসলাম, উপদেষ্টা আফজাল আজিজ, সিলেট ক্যাটারার্স গ্রুপের সাংগঠনিক সম্পাদক নাফিস শাম্স তিয়াস, অর্থ সম্পাদক ফুয়াদ মোঃ খায়রুল ইসলাম, দক্ষিণ সুরমা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক আঃ সামাদ আজাদ, গোসত এর স্বত্বাধিকারী খন্দকার কাওসার আহমদ রবি, ম্যাডগ্রিল ও মিটআপ এর স্বত্তাধিকারী শাহিরাজ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ রেঁস্তোরা মালিক সমিতি, সিলেট জেলা শাখা ও সিলেট ক্যাটারার্স গ্রুপের নেতৃবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি