তেহরানে খামেনির ইমামতিতে রাইসির জানাযা, ১০ লক্ষাধিক জনতার অংশগ্রহন
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ মে ২০২৪, ১০:০১:৫০ অপরাহ্ন
হে আল্লাহ, আমরা তার ভালো কাজ ছাড়া আর কিছুই দেখিনি : খামেনি
জালালাবাদ রিপোর্ট : ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং তার সঙ্গীদের জানাজায় অংশ নিয়েছে ১০ লক্ষাধিক জনতা। গতকাল বুধবার ইউনিভার্সিটি অব তেহরানে জানাজায় ইমামতি করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলি খামেনি।
ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কুরআনের ভাষা আরবিতে নিহতদের জন্য প্রার্থনা করা প্রার্থনায় খামেনি বলেন, ‘হে আল্লাহ, আমরা তার ভালো কাজ ছাড়া আর কিছুই দেখিনি।’ প্রার্থনার সময় ইরানের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মোখবার পাশে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে কেঁদে ফেলেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কালো পোশাক পরে রাইসি ও তার সফরসঙ্গীদের জানাজায় অংশ নিয়েছে ১০ লক্ষাধিক মানুষ । জানাজা শেষে বহু মানুষকে রাইসির কফিন ছুঁয়ে শোক প্রকাশ করেন। অংশ নেওয়া জনতার হাতে নানা লেখা সম্বলিত প্লেকার্ড দেখা গেছে। এর আগে তাবরিজ ও কোম শহরেও তার জানাজা হয়। এ সময় সেখানেও বিপুল মানুষের ঢল নামে। প্রেসিডেন্ট ও তার সফরসঙ্গীদের শেষযাত্রা উপলক্ষে বুধবার তেহরানে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া এবং লেবানিজ হিজবুল্লাহ প্রতিরোধের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল শেখ নাইম কাসেমসহ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের অক্ষের নেতারা। এছাড়া বিভিন্ন দেশের নেতা, রাষ্ট্রপতি, রাষ্ট্রদূত এবং আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বরা জানাজায় অংশ নেন। তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাজা শেষে রাইসির কফিন নিয়ে আজাদি চত্বরের পথে একটি শোকযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এতেও যোগ দেন লক্ষ লক্ষ মানুষ।
সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাইসিকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মাশহাদে দাফন করা হবে। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তেহরান থেকে মরদেহগুলো বিরজান্দ শহরে নেওয়া হবে। সেখান থেকে মাশহাদে নেওয়া হবে। এসব জায়গায় জনগণের শ্রদ্ধা শেষে রাইসির জন্মশহর মাশহাদে শেষ বিদায়ের অনুষ্ঠানের পর বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ইমাম রেজা (আ.)-এর মাজার কমপ্লেক্সে তাকে দাফন করা হবে।
এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসির জানাজায় যোগ দিয়ে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেন, আমি ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষ থেকে, গাজার প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের পক্ষ থেকে সমবেদনা জানাতে এসেছি।তিনি বলেন, পবিত্র রমজান মাসে তেহরানে প্রেসিডেন্ট রাইসির সাথে আমি সাক্ষাত করেছিলাম। তখন প্রেসিডেন্টকে বলতে শুনেছি যে ফিলিস্তিন ইস্যুটি বর্তমানে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রধান ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হানিয়া বলেন, ফিলিস্তিনিকে মুক্ত করার জন্য মুসলিম বিশ্বকে অবশ্যই তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। এ সময় গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে হামাসের হামলায় জায়নবাদী সত্ত্বার হৃদয়ে ভূমিকম্প শুরু হয়ে গিয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।