রেমিট্যান্স প্রণোদনা ৩ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ মে ২০২৪, ৮:১০:৪০ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে বিদ্যমান আর্থিক প্রণোদনা ২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করার পাশাপাশি অ-আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার জন্য ১২ দফা সুপারিশ করেছে জাতীয় সংসদের অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। আগামী বাজেটে এ বিষয়ে ঘোষণা থাকতে পারে। বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে সুপারিশগুলো বিবেচনায় নেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, এ ধরনের কোনো সুপারিশ বাস্তবায়ন করার এখতিয়ার স্থায়ী কমিটির নেই। তাই সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
গত ২৪ এপ্রিল কমিটির এ বিষয়ে মিটিং হয়েছে বলে জানা গেছে। সাবেক অর্থমন্ত্রী ও কমিটির সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সভায় কমিটির সদস্য অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির, একেএম সেলিম ওসমান ও রুনু রেজা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, সভায় বৈধ পথে অর্থাৎ ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর বিষয়ে কি কি করণীয় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে কমিটি ১৩ দফা সুপারিশ প্রণয়ন করে তা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। এখন বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয় বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
জাতীয় সংসদের অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে-
বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে চলমান আর্থিক প্রণোদনার পাশাপাশি অ-আর্থিক প্রণোদনাগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা। রেমিট্যান্স প্রেরণকারি ও তাদের পরিবারের জন্য বিশেষ স্মার্ট কার্ড প্রদান করা যেতে পারে। যা বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রধিকার প্রদান করা যেতে পারে। স্মার্ট কার্ড গ্রহণকারীদের পিতা-মাতা ও স্ত্রী-সন্তানদের জন্য বাংলাদেশে অবস্থিত সব পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে বিশেষ প্রাধিকার প্রদান করা যেতে পারে। স্মার্ট কার্ড গ্রহণকারী অভিবাসী শ্রমিক স্থায়ীভাবে দেশে ফিরে আসলে তাকে স্ব-কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সংশ্লিষ্ট সব সেবা প্রদানকারী সরকারি অফিসে প্রাধিকার প্রদান করা যেতে পারে। স্মার্ট কার্ড গ্রহণকারীদের জন্য বাংলাদেশের সব বিমানবন্দরে এক্সপ্রেসওয়ে/সার্ভিস পদ্ধতিতে হয়রানি ব্যতীত ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস কিলায়ারেন্স এর সুবিধা প্রদান করা যেতে পারে। ইউসিভার্সাল পেনশন স্কিম-এ আগ্রহী করার জন্য প্রবাসীদের মাঝে প্রচারণা কার্যক্রম জোরদার করতে প্রাইভেট সেক্টরকে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।