যুক্তরাজ্যের আগাম নির্বাচন ৪ জুলাই : সমীক্ষায় পিছিয়ে সুনাকের দল
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ মে ২০২৪, ৮:৫৭:২১ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : বুধবারের (২২ মে) বিকেল। যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে তখন ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে। ফটকের বাইরে থেকে গানের হালকা সুর ভেসে আসছে। বাজছে গত শতকের নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় গান ‘থিংস ক্যান ওনলি গেট বেটার’। আইরিশ ব্যান্ড ডি: রিমের গান এটা।
এমন বৃষ্টিবিধুর পরিবেশে সাংবাদিকদের সামনে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ঘোষণা দেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই আগামী ৪ জুলাই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিবিসি বলছে, সুনাকের এমন ঘোষণা আকস্মিক নয়। এর আগে সকাল থেকেই এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল।
তবে অনেকের মনে আশা ছিল, জাতীয় নির্বাচন সময় মেনে আগামী শরৎকালে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী সুনাক দুই বছর তার দপ্তরে থাকতে পারবেন। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক অগ্রগতির বড় সুযোগ পাবেন সুনাক। কিন্তু সেই প্রত্যাশা অধরাই রয়ে গেল।
তবে এটা স্পষ্ট যে সিদ্ধান্তটা অনেকটা যেন ছুরির ফলার ওপর ঝুলেছিল। চাপে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী সুনাক। আগাম নির্বাচন দ্রুত আয়োজনের বিষয়ে যারা প্রধানমন্ত্রীকে চাপ দিচ্ছিলেন, তাদের মধ্যে উপপ্রধানমন্ত্রী অলিভার ডওডেন নিজেও ছিলেন।
আগাম নির্বাচনের পক্ষে থাকা ব্যক্তিদের যুক্তি, পরিস্থিতি এখনকার চেয়ে আরও ভালো না-ও হতে পারে। তাই যত বিলম্ব হবে, কনজারভেটিভ সরকারের ওপর থেকে ভোটারদের আস্থা কমতে পারে। ভোটাররা মন বদলাতে পারেন। ক্ষমতাসীনদের এতে ঝুঁকি বাড়বে।
জনমত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ১৪ বছর শাসন করার পর সুনাকের দল লেবার পার্টির অনেকটা পিছনে আছে। সুনাকের নেতৃত্বে রক্ষণশীল দল স্টারমারের লেবার পার্টির থেকে প্রায় ২০ পয়েন্ট পিছিয়ে আছে।
লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার বলেছেন, ‘নির্বাচন মানে পরিবর্তনের সুযোগ এসেছে। লেবার পার্টিকে ভোট দেওয়ার অর্থ, স্থায়িত্বের পক্ষে ভোট দেওয়া, জীবনমুখী নীতির পক্ষে ভোট দেওয়া এবং বিশৃঙ্খলা বন্ধ করতে ভোট দেওয়া।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, ‘আমার সঙ্গে মহামান্য রাজার কথা হয়েছে। আমি তাকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার সুপারিশ করেছি।’
তিনি জানিয়েছেন, এখন যুক্তরাজ্যের মানুষকে তাদের ভবিষ্যৎ বেছে নিতে হবে। তাদের ঠিক করতে হবে, তারা প্রগতির পথে যাবেন, নাকি আবার পুরনো অবস্থায় ফিরে যাবেন, যেখানে কোনো পরিকল্পনা থাকবে না, কোনো নিশ্চয়তা থাকবে না। সুনাকের এমন বক্তব্যের সময় সামনে বিক্ষোভ চলছিল।