সিলেটে প্রকৃতির চোখ রাঙানি, তাপমাত্রা বেড়ে ৩৭ দশমিক ৭
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মে ২০২৪, ৯:৪৩:০২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের প্রকৃতি যেন ক্রমশ চোখ রাঙাচ্ছে। প্রতিদিনই রেকর্ড ছাড়াচ্ছে দেশের উত্তর-পূর্বের এই জনপদের তাপমাত্রা। বদলাচ্ছে আবহাওয়ার ধরন। ওষ্ঠাগত হয়ে উঠছে প্রাণ। রোদের প্রখরতায় উত্তপ্ত থাকছে চারপাশ।
শুক্রবার দুপুর ৩টায় সিলেটের তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৭ ডিগ্রি সেলিসিয়াস। যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ। আর আগের দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ উঠেছিল ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত ১৬ মে সিলেটে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে সিলেটে ‘হিট ওয়েভ’ সতর্কতার কথা জানায় আবহাওয়া অফিস। বলা হয়, তাপপ্রবাহের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে সচেতনতা জরুরী।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে নাজুক অবস্থা জনজীবনে।তিনি বলেন, দেশে সাধারণত মার্চ, এপ্রিল, মে ও জুনে গরম বেশি থাকে। গরম কিছুটা কমে বৃষ্টি হলে। আগামী কয়েক দিন এ রকম গরম থাকতে পারে। তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সিলেটে গত ২ সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। মাঝখানে সোমবার বৃষ্টি হলেও কমেনি তাপমাত্রা। আবারও বেড়ে যায় তাপমাত্রার পারদ। গরমের সঙ্গে লোডশেডিংও যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। অসহনীয় গরমে বেশির ভাগ সময়ই বিদ্যুৎ থাকে না। শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলের অবস্থা ভয়াবহ। সব মিলিয়ে তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন।
শুক্রবার অফিস-আদালত ও স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সড়কে বের হয়েছেন খুব কম মানুষ। দুপুর পর্যন্ত নগরীর সড়কগুলো ছিলো অনেকটাই ফাঁকা। তীব্র গরমের কারণে সড়কের পাশে লেবুর শরবত এবং ডাব বিক্রেতাদের কদর বেড়েছে অনেক। প্রযোজনের তাগিদে যারা বাসার বাইরে বের হয়েছেন তাদের অনেককেই রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে লেবুর শরবত ও ডাব পান করতে দেখা গেছে।
এদিকে, সিলেট ছাড়ও দেশের আটটি বিভাগের ওপর দিয়ে প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। পাশাপাশি দেশের চারটি বিভাগে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে।
শুক্রবার চুয়াডঙ্গায় দুপুর ৩টায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪২ শতাংশ। চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, চলতি মে মাসে তৃতীয় দফায় তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছে জেলা। এই মাসের শুরুতে তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই ছিল। এরপর বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি মিললেও ফের মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সারাদেশে আজ দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।