শক্তি বাড়িয়ে উপকূলে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ মে ২০২৪, ৮:১৩:২২ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট: বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। এ কারণে দেশের বন্দরগুলোতে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত নামিয়ে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া ৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এদিকে রোববার ঘূণিঝর রেমাল বাংলাদেশে আঘাত হানবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান। এজন্য শনিবার রাতেই মহাবিপদ সংকেত দেখানো হতে পারে বলেও জানান মন্ত্রী।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানান, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তরদিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৮.২ক্ক উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৮ক্ক পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত নামিয়ে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে অতি দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হলো।
এদিকে বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে শনিবার রাত থেকেই মহাবিপদ সংকেত দেখানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান। দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি বাস্তবায়ন বোর্ডের জরুরি সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস, ভারতের আবহাওয়া অফিস, চীনের আবহাওয়া অফিস, জাপানের আবহাওয়া অফিস এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশের আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে সমন্বয় রেখে পরিষ্কার বুঝতে পারছি ঘূর্ণিঝড়টি আসন্ন। আমরা সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস পর্যালোচনা করে মনে হয়ছে ঘূর্ণিঝড় আসন্ন, সেটা মাথায় রেখে প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রোববার ভোর থেকে এটা প্রাথমিক আঘাত হানতে পারে। এরপর সন্ধ্যা নাগাত মূলটা আঘাত হানবে। পূর্বাভাসে আমরা এরকমই বুঝতে পারছি এবং শনিবার রাত ১২টা থেকে ১টার মধ্যে এটা ডেঞ্জার পয়েন্টে চলে যেতে পারে।’