মে মাসেই বারবার ঘূর্ণিঝড়, রহস্য কী?
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ মে ২০২৪, ৯:৫৪:০৮ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : বিগত কয়েক বছরে মে মাসে বারবার আছড়ে পড়ছে ঘূর্ণিঝড়। মে মাস মানেই যেন ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার শঙ্কা। আইলা, আমফান, ইয়াস বা অশনির পর মোখা- ঘূর্ণিঝড়গুলো সৃষ্টি হচ্ছে সেই মে মাসেই। মে মাসে কেন ঘূর্ণিঝড়ের প্রবণতা এত বেশি?
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০০৯ সালে ২১ মে, বঙ্গেপসাগরে তৈরি হয় ঘূর্ণিঝড় আইলা, উপকূলে যা আছড়ে পড়ে ২৫ মে। ২০১৯ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় ফণি এবং ২০২০ সালের মে মাসে এসেছিল আমফান। ২০২১ সালের মে মাসের শেষ দিকে বঙ্গোপসাগরে উৎপন্ন হয় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। আর ২০২২ সালের ৭ মে ধেয়ে এসেছিল অশনি। ২০২৩ সালে ১৪ মে ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানে বাংলাদেশে।
এবার আলোচনা শুরু হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ নিয়ে, যা বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে ২৫ বা ২৬ মে। সেক্ষেত্রে অনেকেরই প্রশ্ন, বারেবারে এই মে মাসেই কেন তা-ব চালায় ঘূর্ণিঝড়? এর নেপথ্যে কি কোনো ভৌগলিক বা বিজ্ঞান ভিত্তিক ব্যাখ্যা রয়েছে?
এর কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, প্রাক বর্ষার মৌসুমে এপ্রিল এবং মে মাসই ঘূর্ণিঝড়ের উপযুক্ত মৌসুম। এর মধ্যে মে মাসে ঘূর্ণিঝড় সবথেকে বেশি হয়। মে মাসে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় হওয়ার উপযুক্ত পরিবেশ থাকে। বেশ কয়েকটি কারণের উপর এই ঘূর্ণিঝড় নির্ভর করে। সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রার উপর ঘূর্ণিঝড়ে সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নির্ভর করে। সাধারণত ন্যূনতম তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেই তা ঘূর্ণিঝড়ের জন্য উপযুক্ত। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য তা অনুকূল।
অন্যদিকে, হাওয়া উপরের দিকে উঠতে থাকলেও ঘূর্ণিঝড় হওয়ার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়। অনেক সময় দেখা গেছে, বঙ্গোপসাগরের উপরে এসে অনেক দুর্বল ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপও ফের সজীব হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন মহাসাগর থেকে কোনো ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপ বঙ্গোপসাগরের উপরে পৌঁছে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের জন্যও অনেক সময় ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে।