সিন্ডিকেট করে ধান ক্রয়, কৃষদের ভোগান্তি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ মে ২০২৪, ৮:২৮:৩৮ অপরাহ্ন
কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার খাদ্য গুদামে সিন্ডিকেট করে ধান ক্রয় করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন কৃষকেরা। আগে আসলে আগে ক্রয় করার সরকারি নিয়ম থাকলেও তা মানছেন না খাদ্য গুদামের দায়িত্ব প্রাপ্তরা। রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বিষয়ে ২ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। এদিন বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থানা বাজারের কয়েকটি গোডাউনে অভিযান চালিয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের বস্তাসহ ধান ও চাল জব্দ করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিলাকুড়ি গ্রামের আব্দুল মালেক ১৪ দিন আগে ১৫০ মন, বুড়িডহর গ্রামের রইস মিয়া ১৫দিন আগে ৭৫ মন, হোসেন আলী সাত দিন আগে ৭৫ মন ও মাহমুদ আলী ৪দিন আগে ৬০ মন ধান নিয়ে আসেন। কিন্তু সিন্ডিকেটের ধানের জন্য তাদের ধান নিচ্ছেন না খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
আব্দুল মালেক, হোসেন আলী ও মাহমুদ আলীসহ কোম্পানীগঞ্জ খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করতে আসা কৃষকরা বলেন, আমরা ১৫ দিন থেকে ধান নিয়ে আসছি খাদ্য গুদামের লোকজন আমাদের ধান নিচ্ছেন না। তারা সুনির্দিষ্ট কয়েকজন লোক ছাড়া কারো ধান ক্রয় করেননি। আমাদেরকে শুধু শুধু আজ না-হয় কাল নিব বলে বলে সময় পার করছেন। কিন্তু শনিবার বাহির থেকে একটি ট্রাক্টরে করে প্রায় ৩’শ বস্তা ধান আসে। সেগুলো সাথে সাথে বাইর থেকে লেবার এনে গোডাউনে ঢুকানো হয়। আমরা এতদিন থেকে লাইন ধরেও ধান দিতে পারতেছি না। পরে শুনলাম খাদ্য গুদামের কয়েকজন ও থানা বাজারের কয়েকজন মিলে একটি সিন্ডিকেট করেছে। তাদের ধান যে কোন সময় আসলেই ওজন ছাড়া গোডাউনে ঢুকানো হয়।
খাদ্য গোদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া বলেন, আমি মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়ে ২দিন আগে এসেছি। সবার ধানই নেওয়া হচ্ছে। তবে একটু সময় লাগছে। তিনি আরো বলেন গাড়ি থেকে সরাসরি ধান গোডাউনে প্রবেশ করেছে আমিও শুনেছি।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ জানান, এবিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। অনিয়মের প্রমাণ পেলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।