আগামী ফেব্রুয়ারির এসএসসিতেই শেষ হচ্ছে পুরোনো শিক্ষাক্রম
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ মে ২০২৪, ৯:৫৩:৩১ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষার মধ্য দিয়েই শেষ হচ্ছে পুরোনো শিক্ষাক্রম। তাই আগামী বছরের ডিসেম্বরেই দশম শ্রেণি শেষে নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন করার বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা পদ্ধতির সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাবে মূল্যায়নের বর্তমান পদ্ধতিও।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) থেকে জানা গেছে, নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় সামষ্টিক মূল্যায়ন বা লিখিত অংশে ৬৫ নম্বর এবং শিখনকালীন মূল্যায়ন বা শ্রেণি কার্যক্রমে ৩৫ নম্বর রাখার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রথম বছরের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ধাপে ধাপে কার্যক্রমভিত্তিক ওয়েটেজ বাড়ানো হবে। লিখিত প্রশ্নপত্র হবে কার্যক্রমের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল রেখে। শ্রেণি কার্যক্রম বলতে বোঝানো হয়েছে- অ্যাসাইনমেন্ট, উপস্থাপন, অনুসন্ধান, প্রদর্শন, সমস্যার সমাধান, পরিকল্পনা প্রণয়নের মতো কাজ।
সূত্র জানায়, এসএসসি বা এইচএসসিতে বর্তমানে তিন ঘণ্টার পরীক্ষা হলেও নতুন শিক্ষাক্রমে প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়ন হবে পাঁচ ঘণ্টায়। এ সময়ে পরীক্ষার হলেই অবস্থান করতে হবে পরীক্ষার্থীদের। তবে মাঝে বিরতি থাকবে। ১০টি বিষয়ের ওপর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। বিষয়গুলো হলো- বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, ডিজিটাল প্রযুক্তি, জীবন ও জীবিকা, ধর্মশিক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতি।
বিষয়ের চাহিদা ও যোগ্যতা অনুযায়ী প্রকল্পভিত্তিক কাজ, সমস্যা সমাধান, অ্যাসাইনমেন্ট ইত্যাদির পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে পরীক্ষার্থীদের। মূল্যায়নে অনুসন্ধান, প্রদর্শন, মডেল তৈরি, উপস্থাপন, পরীক্ষণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ইত্যাদি বিষয় থাকবে। পরীক্ষার মান ও মূল্যায়নে নিরপেক্ষতা যাতে বজায় রাখা যায়, সে জন্য লিখিত মূল্যায়নে বর্তমান পাবলিক পরীক্ষার মতো খাতা ব্যবহার করা হবে।
জানতে চাইলে এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. মো. মশিউজ্জামান বলেন, এসএসসি বা এইচএসসিতে আগের মতো জিপিএ থাকছে না। সাতটি স্কেলে বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়ন করা হবে। সরকারের লক্ষ্য, সব প্রতিষ্ঠান সমপর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। কেউ ভালো করল, কেউ খারাপ করল- তা আর থাকবে না। আমরা চাই সব শিক্ষার্থী উল্লাস করুক। এই মূল্যায়ন পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে পরবর্তী শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়াসহ সব কিছুতেই পরিবর্তন আনা হবে।
গত বছর দেশে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়। বর্তমানে প্রথম থেকে তৃতীয় এবং ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমে অধ্যয়ন চলছে। আগামী বছর চতুর্থ ও পঞ্চম এবং দশম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। ২০২৬ সালে একাদশ ও ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে।