উইমেন্স মেডিকেলে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালন
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ মে ২০২৪, ৬:৩৬:৩৪ অপরাহ্ন
‘হাসপাতালে সন্তান প্রসব করান, মা ও নবজাতকের জীবন বাঁচান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মঙ্গলবার সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালন করা হয়েছে।অবস্টেট্রিক্যাল এন্ড গাইনিকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি, সিলেট) এবং প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের আয়োজনে দিবসটি পালনে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ এর কনফারেন্স রুমে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সহকারী অধ্যাপক ডা: মুরশিদা আফরোজ লুবনার সঞ্চালনায় এবং সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা: শাহানা ফেরদৌস চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগে. জেনা. ডা: জি.এম. মনিরুল ইসলাম (অব:)। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের অধ্যাপক ডা: রীনা আক্তার, সহযোগী অধ্যাপক ডা: ইফফানা আযম ডরিন এবং সার্বিক চিত্র নিয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন গাইনী বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. ফাতেমাতুল তানজিনা চৌধুরী।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল উপ-পরিচালক ডা: তাফহীম আহমদ রিফাত, সহকারী পরিচালক ডা: আবু তারেক মো: রাসেল মিশু, সহযোগী অধ্যাপক লুবনা ইয়াসমিন, সহকারী অধ্যাপক ডা: ফাহিম আরা খানম জেনী, সহকারী অধ্যাপক ডা: মাবরুকা ফাইজাহ্ দিঠিসহ প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের চিকিৎসকবৃন্দ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগে. জেনা. ডা: জি.এম. মনিরুল ইসলাম (অব:) নিরাপদ মাতৃস্বাস্থ্য, মাতৃমৃত্যু হার কমানো এবং নবজাতকের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার পেছনে নিরলস কাজ করার জন্য সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ সকল পর্যায়ে চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি নিরাপদ মাতৃস্বাস্থ্য, মাতৃমৃত্যু হার কমানো এবং নবজাতকের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য হাসপাতাল কেন্দ্রিক প্রচারণা বৃদ্ধির পাশাপাশি গ্রামীন পর্যায়েও ক্যাম্পেইনের উপর জোর দেন।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা: শাহানা ফেরদৌস চৌধুরী বলেন, নিরাপদ মাতৃত্বের ছয়টি স্তম্ভ আছে, যার মধ্যে প্রসবপূর্ব সেবা, প্রসব-পরবর্তী সেবা, পরিবার পরিকল্পনা সেবা ও সংক্রমণ প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম আরও বেগবান করা প্রয়োজন। এসব সেবা যদি একসঙ্গে সমন্বিতভাবে উন্নতি না হয়, তা হলে যেখানে আছি, সেখানেই থাকব। এসময় তিনি মাতৃমৃত্যু হ্রাসের লক্ষ্যে সরকারী প্রতিষ্ঠানমসূহের পাশাপাশি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানেও ট্রেনিং প্রোগ্রামের আয়োজন করার দাবি জানান।
উল্লেখ্য যে, নিরাপদ মাতৃস্বাস্থ্য, মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস ও নবজাতকের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে ১৯৯৭ সাল থেকে প্রতি বছর ২৮ মে বাংলাদেশে পালিত হয়ে আসছে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস। গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসব পরবর্তী সময়ে সকল নারীর জন্য নিরাপদ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণই হল নিরাপদ মাতৃত্ব। বিজ্ঞপ্তি