১০ বছরে ১৮১ কর্মকর্তাকে শাস্তি দিয়েছে সরকার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ মে ২০২৪, ৯:২৩:৩১ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: বিগত ১০ বছরে প্রথম থেকে নবম গ্রেডের ৩৫১ জন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছে সরকার। এর মধ্যে গুরুদ- প্রাপ্ত হয়েছেন ৪১ জন, লঘুদ- পেয়েছেন ১৪০ জন। সব মিলিয়ে শাস্তি পেয়েছেন ১৮১ জন। আর ১৭০ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে গণমাধ্যমকেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ এ অংশ নিয়ে এ তথ্য জানান জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন-বিএসআরএফের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব। সঞ্চালনা করেন-সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।সংলাপে জনপ্রশাসনমন্ত্রী জানান, সরকারি চাকরিতে অনুমোদিত পদ ১৯ লাখ ১৫১টি। এর মধ্যে শূন্য পদ রয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার ৪৪৭।
তবে বাংলাদেশ সরকারির কর্মকমিশনে (বিসিএস) নারীরা পিছিয়ের রয়েছে, এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে ৮৪ জন সচিবের মধ্যে ১১ জন নারী। অতিরিক্ত সচিব রয়েছেন ৭৫ জন, যুগ্ম সচিব রয়েছেন ১৬৪ জন, উপ-সচিব রয়েছেন ৩৯৪ জন।’
তিনি বলেন, ‘সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে কর্মরত রয়েছেন ৬৫৮ জন। এ ছাড়াও ৬৪ জেলার মধ্যে জেলা প্রশাসক হিসেবে ৭ জন নারী এবং ইউএনও হিসেবে কর্মরত রয়েছেন ১৫১ জন নারী। এসিল্যান্ড হিসেবে ৮৮ জন কর্মরত হয়েছেন। একজন বিভাগীয় কমিশনার রয়েছেন নারী।’
মন্ত্রী বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়নে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সব সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে ২৯ শতাংশ নারী কাজ করছেন।’পদোন্নতির ক্ষেত্রে নীতিমালা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যথাযথ নীতিমালা অনুসরণ করেই পদোন্নতি ও পদায়ন করা হয়। আমাদের এখানে একটা শৃঙ্খলা চলে এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘যখন আমরা পদোন্নতি দেই একটা প্রশ্ন আসে পদের চেয়ে পদোন্নতির সংখ্যা বেশি। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন-আমাদের অনেক কিছু খেয়াল করতে হয়। আমাদের খেয়াল রাখতে হয়-বেশ কিছু কর্মকর্তা বিদেশে অধ্যয়নরত থাকেন। সরকারের বিভিন্ন স্কলারশিপের অধীনে। বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাসে কর্মকর্তার বিষয়ে তো রয়েছেই। তারপর একটি বিষয় রয়েছে-কিছু সংখ্যক মানুষ থাকে যারা অসুস্থ থাকেন। সেটি বাদেই আমাদের পদোন্নতি করতে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন পদে যখন পদোন্নতি দিচ্ছি, তখন কিন্তু যে পদ আছে সেই পদের চেয়ে বেশি দিতে হয় যৌক্তিক কারণে। কিছুদিনের মধ্যেই বা ছয় মাসের মধ্যেই বেশ কিছু কর্মকর্তা পিআরএলে চলে যাচ্ছেন। তারপরে বেশ কিছু আমাদের রিজার্ভে রাখতে হয়। কারণ যদি কেউ অসুস্থ হয়ে যায়, এই জায়গাটি পূরণ করা।’