রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে আমদানি ব্যয়ে কঠোরতার সিদ্ধান্ত
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ মে ২০২৪, ৮:৫৯:৪৪ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: রিজার্ভের ওপর চাপ কমানো এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আগামী অর্থবছর ও পরবর্তী দুবছর আমদানি ব্যয়ে কঠোরতা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রিজার্ভের ওপর চাপ কমানো এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য সামনে রেখে আগামী অর্থবছর ও পরবর্তী দুই বছর আমদানি ব্যয়ে লাগাম টানা হবে। রিজার্ভের অব্যাহত পতন ঠেকাতে ডলার ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতেই এ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এর কৌশল হিসেবে প্রথমে আগামী অর্থবছরে আমদানির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হবে না। ব্যয়ের লাগাম টেনে ধরতে পরবর্তী দুই অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা পর্যায়ক্রমে আরো কমিয়ে আনা হবে।
অর্থ বিভাগ জানায়, মূল্যস্ফীতি মূলত আমদানি নির্ভর পণ্যের জন্য বেশি হচ্ছে। আমদানি খাতে ব্যয় কমলে তা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়নের ঘরে। আমদানি খরচ কমলে রিজার্ভের ওপর চাপ কমে আসবে।
মূলত, এই দুটি বিষয় মাথায় রেখেই বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ে কৃচ্ছ সাধনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে অর্থ বিভাগ, যা আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ঘোষণা করা হবে। তবে আমদানি ব্যয়ে কঠোরতা অবলম্বনে শিল্পের উৎপাদন ও জিডিপির প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদ ও উদ্যোক্তারা।
এ বিষয়ে বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, দীর্ঘ সময় আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ এবং ডলার সংকটের কারণে কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। ফলে উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে আমাদের রফতানি বাজার হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। তাই রিজার্ভ বাড়াতে আমদানি ব্যয়ে কঠোরতা করতে গিয়ে যেন রফতানি আয়ে আঘাত না পড়ে সেটিও খেয়াল রাখতে হবে।