সিলেট সেনানিবাসে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস পালন
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ মে ২০২৪, ৯:২১:৩৫ অপরাহ্ন
১৭ পদাতিক ডিভিশন সিলেট অঞ্চলের তত্ত্বাবধানে সিলেট সেনানিবাসে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উদযাপন করা হয়েছে গতকাল বুধবার। সকালে প্রধান অতিথি ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও সিলেট এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল চৌধুরী মোহাম্মদ আজিজুল হক হাজারী বেলুন এবং পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
এসময় তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে আজ আমরা বিশ্বের শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণের ক্ষেত্রে সর্ববৃহৎ শান্তিরক্ষী বাহিনীর আসনে অধিষ্ঠিত। দ্রুততম সময়ে শান্তিরক্ষী প্রেরণেও বাংলাদেশ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। উন্নত দেশের সেনাবাহিনী ও শান্তিরক্ষীদের সাথে কাজ করে বাংলাদেশ সক্ষমতার স্বাক্ষর রেখেছে। এ কারণে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনের সদর দপ্তরে উচ্চ পর্যায়ের অফিসারদের অন্তর্ভুক্তি নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য আশাব্যঞ্জক ও গৌরবের একটি বিষয়। বিশ্বের শান্তি রক্ষায় আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং সেনা, নৌ, বিমান ও পুলিশ বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনী দেশপ্রেম, উঁচু মনোবল ও বিশ্ব শান্তিতে অবদান রাখার প্রত্যয়ে বিরূপ পরিবেশে শান্তিরক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কার্যক্রম ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য সদা প্রস্তুত।
আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত সদস্যগণ মোতায়েনকৃত দেশে ও বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যে আত্মত্যাগ করেছেন ও বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, তা সম্মান করা ও স্মরণীয় করার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী ২০০৩ সাল হতে ২৯ মে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা দিবস পালন করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে ১৭ পদাতিক ডিভিশনের উর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামারিক কর্মকর্তা, তিন বাহিনী ও র্যাব-পুলিশ সদস্য, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিনিধি, আমন্ত্রণকৃত গণমাধ্যম কর্মী ও বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমানে সেনাবাহিনীর ৩৫৯ জন, নৌবাহিনীর ৮ জন, বিমানবাহিনীর ৬ জন এবং ১২০ জন নারী পুলিশসহ সর্বমোট ৪৯৩ জন নারী সদস্য জাতিসংঘের শান্তিরক্ষায় দায়িত্ব পালন করছেন বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তি