সিলেটে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাবে ৪ লক্ষাধিক শিশু
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ মে ২০২৪, ৬:০৪:৫২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট জেলায় ৪ লাখের অধিক শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন এ ক্যাপসুল। জেলার ১৩ উপজেলার ২ হাজার ৪১৩টি কেন্দ্রে চলবে এ কার্যক্রম। আর বন্যা দুর্গত এলাকার জন্য থাকছে ‘র্যাপিড রেসকিউ টিম’। এজন্য গঠন করা হয়েছে ১৩১টি টিম।
বৃহস্পতিবার জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০২৪ বিষয়ে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান জেলা সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই সভাকক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, সিলেট জেলায় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে ৪ লাখ ১৫ হাজার ২৪৭ জন শিশুকে । শিশুর সুস্থভাবে বেঁচে থাকা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি, দৃষ্টিশক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন ‘এ’ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুপুষ্টি। ‘ভিটামিন এ খাওয়ান, শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমান’ এ প্রতিপাদ্যে জেলায় আগামী শনিবার (১ জুন) দিনব্যাপী জেলার মোট ২ হাজার ৪ শতটি অস্থায়ী ও ১৩টি স্থায়ী কেন্দ্রে এ ক্যাম্পেইন চলবে।
এ সময় জানানো হয়, ভিটামিন এ সমৃদ্ধ সবুজ শাক সবজি ও হলুদ ফল মূল খাওয়ানো এবং রান্নায় ভিটামিন এ সমৃদ্ধ ভোজ্য তেল ব্যবহার করাসহ বিভিন্ন পুষ্টি বার্তাও এ ক্যাম্পেইন প্রদান করা হবে। জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে জেলায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৪৪ হাজার ৬১৩ জন শিশুকে নীল রঙের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৩ লাখ ৭০ হাজার ৬০৪ জন শিশুকে লাল রঙয়ের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এসময় সিভিল সার্জন বলেন, ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে রাতকানা থেকে শুরু করে জেরোপথ্যালমিয়ার মত রোগ হতে পারে যাতে চোখের দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণ লোপ পেতে পারে। কোন শিশুই যেন ভিটামিন এ প্লাস প্রোগ্রামের বাইরে না থাকে সেজন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে সিলেট জেলার সকল উপজেলার তদারককারী, মাঠকর্মী ও স্বেচ্ছাসবীগণকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ক্যাম্পেইনের প্রতিটি কেন্দ্রে স্বেচ্ছাসেবীসহ মোট তিনজন করে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত, মেডিকেল অফিসার (সিএস) ডা. স্বপ্নীল সৌরভ রায়, মেডিকেল অফিসার (ডিআরএস) স্নিগ্ধা তালুকদারসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি