সুহাসিনী দাসের পঞ্চদশ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ মে ২০২৪, ৭:১৩:১৭ অপরাহ্ন
ভারতীয় হাইকমিশন সিলেটের সহকারী হাইকমিশনার চন্দর শেখর বলেছেন, আজীবন ব্রতী সুহাসিনী দাস ছিলেন সমাজের উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা। তিনি নিঃস্বার্থভাবে আজীবন সমাজসেবায় নিজেকে উৎর্সগ করেছিলেন। ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের নিরলস কর্মী সুহাসিনী দাসের ভূমিকা প্রশংসনীয়।
তিনি বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী সিলেট নগরীর চালিবন্দরস্থ উমেশচন্দ্র-নির্মলাবালা ছাত্রাবাসের অন্যতম পরিচালিকা, আজীবন সমাজসেবায় উৎসর্গীকৃত ব্যক্তিত্ব, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের নিরলস কর্মী সুহাসিনী দাসের পঞ্চদশ মৃত্যুবার্ষিকী পালন এবং ‘হরিদাস-বনলতা-রাকেশ স্মৃতি বৃত্তি প্রদান’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথাগুলো বলেন।
সিলেট নগরীর চালিবন্দর উমেশচন্দ্র-নির্মলাবালা ছাত্রাবাস পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মনোজবিকাশ দেব রায় এর সভাপতিত্বে ও ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থী বাবরী রাণী দাস বিন্দু’র সঞ্চালনায় স্মরণানুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ভারতীয় হাইকমিশন সিলেটের সেকেন্ড সেক্রেটারী মানষ কুমার মুস্তাফি, সিলেট রামকৃষ্ণ মিশন ও আশ্রমের সম্পাদক স্বামী চন্দ্রনাথানন্দজী মহারাজ, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষয়িত্রী ঊষা রাণী পাল।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উমেশচন্দ্র-নির্মলাবালা ছাত্রাবাস পরিচালনা কমিটির সম্পাদক উপাধ্যক্ষ কৃষ্ণপদ সূত্রধর। ছাত্রাবাসের পক্ষে বক্তব্য রাখে শিক্ষার্থী জয় পাল। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে শিক্ষার্থী দেবশ্রী ভট্টাচার্য্য, অনিকা বণিক্য বৃষ্টি, পাপড়ী দাস, শ্রাবন্তী রায় সূচি, মিথীলা দাশ প্রমুখ।
রাত সোয়া ৮টায় হরিদাস-বনলতা-রাকেশ স্মৃতি বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে ছাত্রাবাসের মেধাবী ১৫ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রধান অতিথিসহ অতিথিবৃন্দ বৃত্তি বিতরণ করেন। পরে রাত সাড়ে ৮টায় আজীবন ব্রতী সুহাসিনী দাসের জীবন ও কর্ম নিয়ে নির্মিত ডকুমেন্টারি ফিল্ম প্রদর্শন শেষে রাত সাড়ে ৯টায় অতিথিবৃন্দকে নৈশ্যভোজে আপ্যায়ণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
এর আগে সকাল ১০টায় সমবেত গীতা পাঠ ও বেলা ১১টায় প্রয়াতের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি