পাসপোর্ট থেকে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শব্দটি বাদ দেওয়া দুঃখজনক : ড. মোমেন
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ মে ২০২৪, ১০:০১:৪৭ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : ই-পাসপোর্ট থেকে ‘একসেপ্ট ইসরায়েল’ শব্দটি ডিলিট করা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।শুক্রবার এফডিসিতে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন নিরসনে করণীয় নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ মন্তব্য করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা অন্য কেউ আমার সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা না করেই এ পরিবর্তন করেছে। পাসপোর্টকে আরো মানসম্পন্ন করা এবং খরচ কমানোর জন্য জার্মানির একটি প্রতিষ্ঠান এই কাজটি করেছে বলে আমাকে অবহিত করা হয়।”
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মুসলিমবিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রনায়ক জনতার রায়ে নির্বাচিত নয়। তবে বাংলাদেশের সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত। তাই আরববিশ্ব ফিলিস্তিন ইস্যুতে জোরালো ভূমিকা রাখতে পারছে না। ব্রাজিলের মতো নন-মুসলিম দেশ ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করলেও কোনো মুসলিম রাষ্ট্র এখন পর্যন্ত এমন সিদ্ধান্ত নেয়নি।’
তিনি আরো বলেন, ‘ওআইসি ও আরব লীগ একাধিকবার বৈঠকে বসলেও তারা ইসরায়েলি পণ্য বয়কটে এক হতে পারেনি। ইসরায়েলের সঙ্গে আমাদের কোনো বাণিজ্যিক সম্পর্ক না থাকলেও তাদের ও তাদের মিত্রদের অনেক পণ্য আমাদের দেশে বিক্রি হচ্ছে।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, জাতিসংঘের নিজস্ব শক্তি বলতে কিছু নেই। পাঁচটি মোড়ল রাষ্ট্রের ওপর তারা নির্ভরশীল। ১৫ হাজার শিশুসহ ৩৬ হাজার মানুষকে হত্যার পরও মানবতার ফেরিওয়ালারা ফিলিস্তিনে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কোনো ভূমিকা রাখেনি। পশ্চিমাদের বাদ দিয়ে আরববিশ্ব এক হলেও ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল দুটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমেই বর্তমান সমস্যার সমাধান সম্ভব।