সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির : কোথাও উন্নতি, কোথাও অপরিবর্তিত
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ জুন ২০২৪, ৩:৫১:৩১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের চলমান বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা গুমোট ভাব ধারণ করেছে। সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করলেও গত ২৪ ঘন্টায় অপরিবর্তিত রয়েছে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি। ফলে নগরী থেকে নামেনি পানি। নদী উপচে উল্টো ডুবতে শুরু করেছে নগর ও সিলেট সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল। একই সাথে জেলার কয়েকটি উপজেলায় পানি বৃদ্ধিরও খবর পাওয়া যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় সিলেটের কোথাও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, আবার কোথাও অপরিবর্তিত আছে। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জেলার সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ৪ টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নতুন করে বৃষ্টি না হলে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা আশা করছেন।
তবে সিলেটসহ দেশের কয়েকটি বিভাগে আগামী ২/৩ দিন মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের আভাস থাকায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় রয়েছেন নগরীসহ কয়েকটি উপজেলার মানুষ। এদিকে হবিগঞ্জের বাহুবলে শুক্রবার সকালে ভারি বর্ষণে ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে করাঙ্গী নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ফলে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেনি। জেলার গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলায় পানি অনেকটা কমেছে। অন্যদিকে নগরী, সিলেট সদর, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত আছে। তবে ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, বিশ্বনাথ , ওসমানীনগরসহ কয়েকটি উপজেলায় নতুন করে বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
সিলেটে শুক্রবার থেকে তেমন বৃষ্টি হয়নি। তবে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল অব্যাহত আছে। শনিবার নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত না হলেও কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত আছে।
শনিবার সকালে সিলেটের জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সিলেট সিটি করপোরেশনের ৯টি ওয়ার্ডসহ সদর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার ৫৯টি ইউনিয়নের ৬ লাখ ৯ হাজার ৭৩৩ জন মানুষ বন্যাকবলিত হয়েছেন। জেলায় ৫৫০টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। বর্তমানে আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন ৩ হাজার ৩৪২ জন। জেলার ৮টি উপজেলার মোট ৭৮১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানিয়েছেন, উজান থেকে ভাটির দিকে পানি নামতে শুরু করায় সিলেট নগর, বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। তবে বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারিভাবে শুকনো খাবার, রান্না করা খাবার ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
এর আগে ৪ দিন ধরে ভারতে থেকে পাহাড়ি ঢল নামার পাশাপাশি সিলেটেও ভারী বৃষ্টি হয়। এ সময় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয় জেলার গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলা। মূলত জেলার প্রধান দুটি নদী সুরমা, কুশিয়ারাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি উপচে একের পর এক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে ফসলের ক্ষেত, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। অসংখ্য বাসাবাড়িও হয়েছে প্লাবিত। তবে শুক্রবার থেকে গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর উপজেলাসহ কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও অন্যান্য জায়গায় অপরিবর্তিত আছে।
ছাতকে বাড়ছে পানি :
ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এবার সুনামগঞ্জের কিছু এলাকায় পানিবন্দি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে ছাতকের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন পাঁচ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত থেকে সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় কমতে শুরু করেছে জেলার যাদুকাটা, কুশিয়ারা ও রক্তি নদীর পানি। তবে দ্রুতগতিতে বাড়ছে ছাতকের সুরমা নদীর পানি। গত ২৪ ঘণ্টায় সুরমা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে ছাতক উপজেলার সীমান্ত এলাকার নিম্নাঞ্চলের মুক্তিয়ার খলা, হরিপুরসহ ৫-৬ গ্রামের প্রধান সড়ক ডুবে গেছে। ফলে ছাতক উপজেলার সঙ্গে সরাসরি সড়ক পথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতোমধ্যে সবধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। সেই সঙ্গে বন্যা মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ মজুদ রয়েছে।জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, জেলার কিছু এলাকায় মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। যেহেতু সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি বাড়ছে সেজন্য আমরা বন্যা মোকাবিলার জন্য আগাম সবধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
সিলেট নগরের তালতলা, মেন্দিবাগ, মাছিমপুর, তেররতন, যতরপুর, শাহজালাল উপশহরসহ বিভিন্ন এলাকা এবং সিলেট ফায়ার কার্যালয় এখনও জলমগ্ন। ডুবে আছে সড়ক। বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে।
শনিবার তেররতন এলাকার কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঐ এলাকায় বুধবার রাত থেকে পানি ওঠা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঘরে ঢোকা শুরু করে। কিছু মালপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সরানোর জায়গা নেই, তাই অনেকেই সরাতে পারিনি। স্থানীয় কলোনীর এক বাসিন্দা বলেন, ঘরে পানি ঢুকছে। লাকড়ি ভিজে গেছে। রান্না করা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, অতিবৃষ্টি এবং নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নগরে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের ড্রেন সব পরিষ্কার আছে। নগরের পানি খাল বা ছড়া হয়ে নদীতে যায়। কিন্তু এখন উল্টো নদীর পানি শহরে ঢুকে পড়েছে। বৃষ্টি না হলে এ অবস্থা থাকবে না।’
সিলেট আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে ৫.৫ মিলিমিটার। এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ৬১ মিলিমিটার।
সিলেট জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলায় সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে জকিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলা। বিয়ানীবাজারের পাঁচটি, গোলাপগঞ্জের একটি এবং দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের আংশিক প্লাবিত হয়েছে। আট উপজেলায় পানিবন্দি ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৪৭০ জন। গোয়াইনঘাটে পানিবন্দি দুই লাখ ৪৫ হাজার ৭৫০ জন। বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুত ৫৪৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে এ পর্যন্ত উঠেছে তিন হাজার ৭৩৯ জন। সরকারি-বেসরকারিভাবে খাবার ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হচ্ছে। উপজেলাগুলোতে বন্যার পানি যত কমছে সড়ক, ব্রিজ-কালভার্ট, মাছের ঘেরের ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ততই ভেসে উঠছে। অনেক রাস্তাঘাটে কাদা-জলে একাকার হয়ে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
বাহুবলে নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত :
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের নিজগাঁও গ্রামে শুক্রবার সকালে পাহাড়ি ঢলে করাঙ্গী নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। এতে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এদিকে জেলার হাওরে ও কুশিয়ারা নদীতে পানি বাড়ছে দ্রুতগতিতে। তবে খোয়াই নদীর পানি কমছে। হবিগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ জানিয়েছেন, ভারত থেকে আসা পানির কারণে নদী ও হাওরে পানি বাড়ছে।
নদ-নদীর পানির সর্বশেষ অবস্থা :
পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবো সিলেট সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৮০ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেট পয়েন্টে সুরমার পানি বিপদসীমার ৪ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অমলশীদ পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ১৮৬ সে.মি. ও শেওলা পয়েন্টে একই নদীর পানি বিপদসীমার ০ দশমিক ৭. সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। শেরপুর পয়েন্টে একই নদীর পানি বিপদসীমার ৪৪ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত ২৪ ঘন্টায় লোভাছড়া পয়েন্টে লোভার পানি, সারিঘাট পয়েন্টে সারি’র পানি কমে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জাফলং পয়েন্টে ডাউকি’র পানি বিপদসীমার ২৬০ সে.মি নিচ দিয়ে এবং গোয়াইনঘাট পয়েন্টে সারি গোয়াইনের পানি বিপদসীমার ৬৫ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
সিলেটে ৪ শ’ টন চাল ও নগদ সাড়ে ৩৩ লাখ টাকা বরাদ্দ:
সাম্প্রতিক বন্যায় সিলেটের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার ১৩ উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য সরকারি ত্রাণ উপ-বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্ধের মধ্যে নগদ ৩৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে সাধারণের জন্য ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, শিশুখাদ্য বাবদ ৯ লাখ টাকাএবং গো-খাদ্য বাবদ ৯ লাখ টাকা, ৪ শ’ মেট্রিক টন চাল এবং ১ হাজার ২৫০ বস্তা শুকনো খাবার রয়েছে। সিলেটের জেলা প্রশাসন থেকে এই বরাদ্ধের তালিকা দেয়া হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ৪০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা,শুকনো খাবার ২শ’ বস্তা, শিশু খাবার বাবদ ৫৫ হাজার টাকা এবং গোখাদ্য বাবদ ৫৫ হাজার টাকা। গোয়াইনঘাট উপজেলায় ৪০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২শ’ বস্তা শুকনো খাবার, শিশুখাদ্য বাবদ ৯০ হাজার টাকা ও গোখাদ্য বাবদ ৯০ হাজার টাকা। জৈন্তাপুর উপজেলায় ৪০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২শ’ বস্তা শুকনো খাবার, শিশুখাদ্য বাবদ ৬০ হাজার টাকা ও গোখাদ্য বাবদ ৬০ হাজার টাকা। কানাইঘাট উপজেলায় ৪০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২শ’ বস্তা শুকনো খাবার, শিশুখাদ্য বাবদ ৭৫ হাজার টাকা ও গোখাদ্য বাবদ ৭৫ হাজার টাকা। জকিগঞ্জ উপজেলায় ৪০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২শ’ বস্তা শুকনো খাবার, শিশুখাদ্য বাবদ ৭৫ হাজার টাকা ও গোখাদ্য বাবদ ৭৫ হাজার টাকা। বিয়ানীবাজার উপজেলায় ২৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১লাখ টাকা, ৫০ বস্তা শুকনো খাবার, শিশুখাদ্য বাবদ ৮৫ হাজার টাকা ও গোখাদ্য বাবদ ৮৫ হাজার টাকা। গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ২৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১লাখ টাকা, ৫০ বস্তা শুকনো খাবার, শিশুখাদ্য বাবদ ৯০ হাজার টাকা ও গোখাদ্য বাবদ ৯০ হাজার টাকা।
এছাড়াও সদর উপজেলায় ২৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১লাখ টাকা, ৫০ বস্তা শুকনো খাবার, শিশুখাদ্য বাবদ ৬৫ হাজার টাকা ও গোখাদ্য বাবদ ৬৫ হাজার টাকা। বিশ্বনাথ উপজেলায় ২৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১লাখ টাকা, ৫০ বস্তা শুকনো খাবার, শিশুখাদ্য বাবদ ৬৫ হাজার টাকা ও গোখাদ্য বাবদ ৬৫ হাজার টাকা। ওসমানীনগর উপজেলায় ২৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১লাখ টাকা, ৫০ বস্তা শুকনো খাবার, শিশুখাদ্য বাবদ ৬৫ হাজার টাকা ও গোখাদ্য বাবদ ৬৫ হাজার টাকা। দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় ২৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১লাখ টাকা, শিশুখাদ্য বাবদ ৬৫ হাজার টাকা ও গোখাদ্য বাবদ ৬৫ হাজার টাকা। ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় ২৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১লাখ টাকা, শিশুখাদ্য বাবদ ৫৫ হাজার টাকা ও গোখাদ্য বাবদ ৫৫হাজার টাকা। বালাগঞ্জ উপজেলায় ২৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১লাখ টাকা, শিশুখাদ্য বাবদ ৫৫ হাজার টাকা ও গোখাদ্য বাবদ ৫৫হাজার টাকা।