শান্তিগঞ্জে ৩ প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ জুন ২০২৪, ৬:২২:৪৬ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: শান্তিগঞ্জে জমে উঠেছে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। চায়ের কাপে উঠছে ঝড়। সভা সমাবেশ উঠান বৈঠক ও গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। ৮ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ উপজেলায় ৩ জন চেয়ারম্যান পদে লড়াই করছেন। ৫ জুন নির্বাচনে এ উপজেলায় এ তিনজনের মধ্যেই লড়াই হওয়ার আভাস পাওয়া গেছে।
ভোটাররা জানান, ৩জন প্রার্থীই ভোটের মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন। দিচ্ছেন নতুন নতুন প্রতিশ্রুতি। এ উপজেলায় পশ্চিম অঞ্চল শিমুলবাঁক ও পাথারিয়া ইউনিয়নে বড় ধরনের ভোট ব্যাংক রয়েছে এডভোকেট বুরহান উদ্দীন দোলনের। তিনি সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ছিলেন। এছাড়া দুইবার নির্বাচন করে হারায় তার প্রতি ভোটারদের দুর্বলতা রয়েছে। এসব কারণে অন্য ইউনিয়নগুলোতে ভোটের প্রভাব পড়ছে। তাই শেষ পর্যন্ত ঘোড়া মার্কা নিয়ে দোলন চমক দেখাতে পারেন।
ভোটের মাঠ ঘুরে জানা গেছে, পূর্বাঞ্চল পশ্চিম পাগলা ও পূর্ব পাগলায় মোটর সাইকেল প্রতিকের প্রার্থী আবুল কালামের ভোট ব্যাংক রয়েছে। তিনি এর আগেও একবার এ উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি এ এলাকা থেকে প্রার্থী হয়েছেন। পুরো উপজেলায় তার কর্মী রয়েছে। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ায় বিজয়ের ব্যাপারে তাকে ঘিরে জল্পনা কল্পনা আছে ভোটারের।
এদিকে, কালামের ভোট ব্যাংক ভাঙতে হানা দিচ্ছেন মান্নানপুত্র সাদাত মান্নান অভি। অভিও আনারস প্রতিক নিয়ে ভোটের মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। অভি ভোটারদের নতুন নতুন উন্নয়নের ফর্মুলা তুলে ধরছেন। তার সাবলীল বক্তব্য ভোটারদের আকৃষ্ট করছে। এছাড়া তার পিতা সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এর উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় তার দিকে ধীরে ধীরে ঝুঁকছে ভোটাররা।
আবুল কালাম বলেন, আমি উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন অনেক উন্নয়ন করেছে। মামলা মোকদ্দমা কম ছিল। পুরো উপজেলায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করেছি। ভোটাররা আমাকে চায়। আশা করি বিজয় আসবে।এডভোকেট বুরহান উদ্দীন দোলন বলেন, অতীতে এ উপজেলায় দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন হয়নি। আমি অন্যায়ের প্রতিবাদ করি। নির্বাচন করে দুইবার হেরেছি। ভোটাররা এবার আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে ইনশাল্লাহ।
সাদাত মান্নান অভি বলেন, আমার পিতা এম এ মান্নানের হাত ধরে এ উপজেলার অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আমি বাবার কাছ থেকে শিখেছি কিভাবে উন্নয়ন করতে হয়। আমি বিজয়ি হলে শিক্ষার মান উন্নয়ন নিয়ে কাজ করব। শিক্ষিত হলে এলাকার অর্থনীতির চাকা সচল হয়। এছাড়া স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করবো। আশা করছি বিজয়ি হবো।