শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে চেম্বারের মতবিনিময়
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ জুন ২০২৪, ৬:৪৩:০৯ অপরাহ্ন
মে দিবসে হোটেল-রেস্টুরেন্ট ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা প্রসঙ্গে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র উদ্যোগে রোববার দুপুরে চেম্বার কনফারেন্স হলে সিলেটের বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে সিলেট চেম্বার নেতৃবৃন্দের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ।
সভায় পরিবহন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ১ মে সিলেটের কয়েকটি রেস্টুরেন্টে শ্রমিক কর্তৃক যে হামলা ও ভাংচুর হয়েছে তা নিন্দনীয়। আমরা মহান মে দিবস শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীর মাধ্যমে পালন করবো, কিন্তু কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে নয়। তারা বলেন, আমরা পরিবহন শ্রমিকরা অনেক সময় বিভিন্ন দাবী-দাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেই, কিন্তু জরুরী সেবাদানকারী গাড়িগুলো আমরা আটকাই না। ঠিক তেমনিভাবে সিলেট পর্যটন নগরী হিসেবে পর্যটকদের সুবিধার্থে সিলেটের হোটেল-রেস্টুরেন্টসমূহ ছুটির দিনে খোলা রাখাও একান্ত প্রয়োজন। শ্রমিকরা প্রয়োজনে মে দিবসের ছুটি পর্যায়ক্রমে গ্রহণ করবে অথবা আগ্রহী শ্রমিকগণ আংশিক সময়ের জন্য ছুটি গ্রহণ করে কর্মসূচীতে যোগদান করতে পারবে। তারা হামলা-মামলা পরিহার করে আলোচনাক্রমে বিষয়টি সুরাহার আহবান জানান।
সভায় হোটেল-রেস্টুরেন্ট শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বলেন, হোটেল-রেস্টুরেন্ট শ্রমিকরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। তাদেরকে অতিরিক্ত সময় কাজ করানো হয়, কিন্তু কোন ওভারটাইম প্রদান করা হয় না। তাদেরকে কোন ধরণের নিয়োগপত্র বা আইডি কার্ড প্রদান করা হয় না। শ্রম আইনে সপ্তাহে একদিন ছুটির বিধান থাকলেও হোটেল-রেস্টুরেন্ট সমূহে কোন ছুটি প্রদান করা হয় না। চাকুরীচ্যুতির ভয়-ভীতি দেখিয়ে অতিরিক্ত সময় কাজ করানো হয়। কিছু কিছু হোটেল-রেস্টুরেন্টে স্বল্প আকারে ঈদ বোনাস প্রদান করা হলেও বেশিরভাগ হোটেল-রেস্টুরেন্টেই ঈদ বোনাস দেওয়া হয় না। তারা বলেন, শুধু মে দিবসে খোলা বা বন্ধ রাখা নয়, আমরা এ সবগুলো বিষয়ের আলোচনাক্রমে সমাধান চাই।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ বলেন, শ্রমিক এবং মালিকদের মধ্যে আন্তরিকতা থাকতে হবে। মালিকের ক্ষতি হলে তার প্রভাব শ্রমিকের উপরেও পড়বে। তিনি বলেন, হোটেল-রেস্টুরেন্ট শ্রমিকরা বেশিরভাগই অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকুরী করে, ঘন ঘন চাকুরী পরিবর্তন করে, তাই সকলকে নিয়োগপত্র ও আইডি কার্ড প্রদান করা সম্ভব হয় না। তবে স্থায়ী স্টাফদের নিয়োগপত্র ও আইডি কার্ড দেওয়া হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ এমদাদ হোসেন, সহ সভাপতি এহতেশামুল হক চৌধুরী, পরিচালক শান্ত দেব, মোঃ রিমাদ আহমদ রুবেল, মোঃ মাহবুবুল হাফিজ চৌধুরী মুশফিক, মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম, সচিব মোঃ গোলাম আক্তার ফারুক, পরিবহন শ্রমিক নেতা হাজী ময়নুল ইসলাম, মোঃ জাকারিয়া, মোঃ আজাদ মিয়া, আব্দুছ ছালাম, আব্দুল গফুর, জুলহাস হোসেন বাদল, মোঃ জুমেল ইসলাম, মোঃ কাওছার আহমদ, হোটেল-রেস্টুরেন্ট শ্রমিক নেতা আজিজুর রহমান আজিজ, মোঃ ছাদেক মিয়া, মোঃ মাজহারুল ইসলাম (শওকত), বেলাল আহমদ, খোকন আহমদ, মোঃ সফিক প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি