গোয়াইনঘাটে আবার বাড়ছে পানি
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ জুন ২০২৪, ৮:৫৮:২৩ অপরাহ্ন
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি: বন্যার পানি শনিবার রাতে কমলেও রোববার বাড়তে থাকে। ঘরবাড়ি ভেসে উঠলেও বন্যার ছোবলে ক্ষতবিক্ষত। নি¤œ আয়ের মানুষের ঘরে নেই খাবার, নেই কাজ, বেকার অবস্থায় মানবেতর দিন কাটছে বানভাসী মানুষের। সরকারী ত্রাণ অপ্রতুল হওয়ায় আক্রান্তরা অনেকেই বঞ্চিত রয়েছেন। বিধ্বস্ত রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। হাট বাজারে চলছে নিত্যপণ্যের উচ্চলম্ফ।
ডুবে যাওয়া ঘর বাড়ি ভেসে উঠলেও বসবাসের উপযোগী করতে চলছে নারী পুরুষের প্রাণান্তকর চেষ্টা। আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে অনেকেই নিজ বাড়িতে ফিরছেন। রোববার থেকে আবার পানি বৃদ্ধি শুরু হয়েছে। বানবাভাসী লোকজন জানান, দুর্যোগের সময় উদ্ধার কার্যক্রম ছিল না। যে যেভাবে পারছে নিজ চেষ্টায় বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়ছে। উপজেলার কয়েক লক্ষ মানুষ ২৯ মে থেকে পানিবন্দী হয়ে পড়েন। সরকারী হিসাবে ৪৩ হাজার পরিবার আক্রান্ত হলেও ত্রাণ সহয়তা অপ্রতুল।
আকষ্মিক বন্যার প্রথম আঘাতে বেশী আক্রান্ত হয় ১২ নং সদর, সাবেক পূর্ব জাফলং ও আলীরগাঁও ইউপিবাসী। উপজেলার সব ক’টি নদীর পানি বিপদসীমার নীচে রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে বিচ্ছিন্ন। পিরিজপুর সোনারহাট, গোয়াইনঘাট সালুটিকর রাস্তায় গত জুলাই-আগস্টে কিছু অংশের মেরামত কাজ হলেও অত্যন্ত নি¤œমানের কাজ হওয়ায় বন্যার ছোঁয়া লাগতেই বিধ্বস্ত হয়েছে-এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। গুলরবন্দের ভাংগা মাটির বদলে বালু ভরাট করে বিটুমিনের প্রলেপ দেয়ায় ভেঙ্গে গিয়ে আলীরগ্রামের দু’শতাধিক ঘরবাড়ী পড়ছে হুমকির মুখে। উপজেলা সদরের সাথে গ্রামবাসির সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় হাদারপার আহারকান্দি ডৌবাড়ি এলাকা থেকে ইঞ্জিন নৌকায় মানুষ চলাচল করছে।
রোববার দুপুরে ইমরান আহমদ এমপি উপজেলা সদরে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট পরিদর্শন করেন। এসময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, ইউএনও ও পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।