খাদ্য মূল্যস্ফীতি আরও বেড়েছে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ জুন ২০২৪, ৮:২০:১৬ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার আরও বেড়েছে। সদ্যবিদায়ী মে মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ হয়েছে, যা আগের মাস এপ্রিলে ছিল ১০ দশমিক ২২ শতাংশ। সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া মে মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এপ্রিল মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ, যা ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার আবারও বেড়ে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ হয়। গ্রামীণ অঞ্চলের তুলনায় শহরাঞ্চলগুলোয় উচ্চতর মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব পড়েছে। শহর এলাকায় মুদ্রাস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং গ্রামীণ অঞ্চলে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। মার্চে শহর এলাকায় খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশ, খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ০৩ শতাংশ এবং গ্রামীণ এলাকায় খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৭৩ শতাংশ ও খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ। ২০২২-২৩ সালে গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল নয় দশমিক শূন্য দুই শতাংশ। এটি সাম্প্রতিক বছরগুলোর গড় ছয় শতাংশের তুলনায় অনেক বেশি। বিবিএস জানায়, মে মাসে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম। খাদ্যপণ্য যেন নাগালের বাইরে গেছে। বিবিএসের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে এক বছরের ব্যবধানে ১০০ টাকার খাদ্যপণ্যে দাম বেড়েছে ১০ টাকা ৭৬ পয়সা।
বিবিএসের তথ্যে দেখা গেছে, এপ্রিল থেকে বাড়তে বাড়তে মে মাসে খাদ্যপণ্য বৃদ্ধির রেকর্ড গড়েছে। চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে বলে জানিয়েছে।
এছাড়া বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দাম কিছুটা কমেছে। মে মাসে এ খাতে মূল্যস্ফীতির হার কমে ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ হয়েছে, যা এপ্রিলে ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।