সিলেটের ৮ পয়েন্টে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জুন ২০২৪, ১২:৩৫:১৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : ভারী বর্ষণের ফলে ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে সিলেট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি পানি ফের বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সাথে একদিনের ব্যবধানে সিলেটের ৮টি পয়েন্টে বেড়েছে নদ-নদীর পানি। ফলে উপজেলা পর্যায়ে দীর্ঘায়িত হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি।পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবো সিলেট সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৬১ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রোববার সন্ধ্যায় এই পয়েন্টে পানির অবস্থান ছিল ১৩ দশমিক ৪৪ সে.মি. আর সোমবার সন্ধ্যায় এই পয়েন্টে পানির অবস্থান হচ্ছে ১৩ দশমিক ৩৬ সে.মি.। এই পয়েন্টে বিপদসীমা ১২ দশমিক ৪৪ সে.মি.।
সিলেট পয়েন্টে সুরমার পানি সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় বিপদসীমার ১ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যায় এই পয়েন্টে পানি ছিল ১০ দশমিক ৮১ সে.মি.। যা রোববার সন্ধ্যায় ১০ দশমিক ৭৮ সে.মি.।
অমলশীদ পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি কমলেও এখনো বিপদসীমার ৪০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যায় এই পয়েন্টে পানির সর্বশেষ অবস্থান ছিল ১৫ দশমিক ৮০ সে.মি.। যা রোববার ছিল ১৬ দশমিক ২৭ সে.মি.। এর বিপদসীমা হচ্ছে ১৫ দশমিক ৪০ সে.মি.।
সোমবার সন্ধ্যায় শেওলা পয়েন্টে একই নদীর পানি কমে বিপদসীমার ৩৯ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির সর্বশেষ অবস্থান ছিল ১২ দশমিক ৬৬ সে.মি.। যা রোববার সন্ধ্যায় ছিল ১২ দশমিক ৯১ সে.মি.। এর বিপদসীমা ১৩ দশমিক ০৫ সে.মি.। এদিকে ফেঞ্চুগঞ্জে পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি বিপদসীমার ২১ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যায় পানির অবস্থান ছিল ৯ দশমিক ৬৬ সে.মি.। যা রোববার ছিল ৯ দশমিক ৫৩ সে.মি.। এর বিপদসীমা ৯ দশমিক ৪৫ সে.মি.।
শেরপুর পয়েন্টে একই নদীর পানি বিপদসীমার ৫২ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সোমবার সন্ধ্যায় পানির অবস্থান ছিল ৮ দশমিক ০৩ সে.মি.। সোমবার সন্ধ্যায় লোভাছড়া পয়েন্টে লোভা’র পানির অবস্থান ছিল ১৩ দশমিক ৪৩ সে.মি.। যা রোববার ছিল ১৩ দশমিক ৫৩ সে.মি.। ২৪ ঘন্টায় এই পয়েন্টে কমেছে পানি।
সারিঘাট পয়েন্টে সারি’র পানি বাড়লেও বিপদসীমার ৬০ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যায় পানির অবস্থান ছিল ১১ দশমিক ৭৫ সে.মি.। যা রোববার ছিল ১১ দশমিক ৫৭ সে.মি.।জাফলং পয়েন্টে ডাউকি নদীর পানি বাড়লেও বিপদসীমার ২৩৬ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যায় পানির অবস্থান ছিল ১০ দশমিক ৬৪ সে.মি.। যা রোববার ছিল ১০ দশমিক ৫২ সে.মি.।
গোয়াইনঘাট পয়েন্টে সারি গোয়াইনের পানি বাড়লে বিপদগসীমার ৫৪ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যায় পানির অবস্থান ছিল ১০ দশমিক ২৮ সে.মি.। যা রোববার ছিল ১০ দশমিক ২২ সে.মি.।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে সুনামগঞ্জ, ছাতক ও দিরাই পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এরমধ্যে ছাতক পয়েন্টে সুরমার পানি বিপদসীমার উপর প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে।পাউবো সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ পয়েন্টে সুরমা নদীর পানির অবস্থান সোমবার ছিল ৭ দশমিক ৫০ সে.মি.। যা রোববার ছিল ৭ দশমিক ৩৪ সে.মি.। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে এই পয়েন্টে পানি বেড়েছে ১৬ সে.মি.। এই নদীর বিপদসীমা ৭ দশমিক ৮০ সে.মি.।
দিরাই পয়েন্টে সুরমা নদীর পানির অবস্থান সোমবার ছিল ৫ দশমিক ২২ সে.মি.। যা রোববার ছিল ৫ দশমিক ০৯ সে.মি.। ২৪ ঘন্টায় এই পয়েন্টে পানি বেড়েছে ১৩ সে.মি.। এর বিপদসীমা ৬ দশমিক ৫৫ সে.মি.।
ছাতক পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে এখনো পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার এই পয়েন্টে পানির অবস্থান ছিল ৯ দশমিক ৩৩ সে.মি.। যা রোববার ছিল ৯ দশমিক ২১ সে.মি.। এর বিপদসীমা ৮ দশমিক ৬৮ সে.মি.।