নগরে নিচু এলাকায় আটকে আছে পানি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জুন ২০২৪, ৯:৪৯:৩৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : ভারত থেকে নেমে আসা ঢল ও অতি বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে সিলেট নগরে। প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে ধীরে নামছে পানি। তবে মঙ্গলবারও অনেক এলাকায় ছিলো হাঁটু সমান পানি। আর যেসব এলাকা থেকে পানি নেমে গেছে সেসব এলাকায় উৎকট দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। এ নিয়ে বাসিন্দাদের মাঝে নতুন ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার রাত ১টা থেকে ফজর পর্র্যন্ত ভারী বৃষ্টি হয় সিলেটে। এতে ডুবে যায় নগরের অধিকাংশ এলাকা। আর জলমগ্ন নগরের বাসিন্দারা কাটান ২০২২ এ মতো আরেকটি নির্ঘুম ভয়াবহ রাত।পানি ঢুকে পড়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়। ডুবে যায় কয়েকটি প্রধান সড়কও। ঘরের ভেতর পানি প্রবেশ ঠেকাতে রাত জেগে পাহারা দিতে দেখা যায় নগরবাসীকে। তবুও ঠেকাতে পারেননি পানি। পানির স্রোতের কাছে অসহায় পড়েন নগরের মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যেসব এলাকার পানি নেমে গেছে সেসব এলাকা হুলো- মণিপুরি রাজবাড়ি, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, পায়রা, দরগামহল্লা, হাওয়াপাড়া, নাইওরপুল, সোনারপাড়া, বালুচর, মীরের ময়দান, পুলিশ লাইনস, কেওয়াপাড়া, সাগরদিঘিরপার, খাসদবির, লালদিঘিরপার ও মেজরটিলা। আর যেসব এলাকায় পানি নামেনি সেসব এলাকা হলো- উপশহর, মেন্দিবাগ, মাছিমপুর, তেরোরতন, সাদারপাড়সহ নদী তীরবর্র্তী ও নিচু এলাকা। এসব এলাকার মানুষের ভোগান্তিও কাটেনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবো সিলেট সূত্রে জানা গেছে, সিলেট পয়েন্টে সুরমার বিপদসীমা ১০ দশমিক ৮০। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় এই পয়েন্টে পানি ছিলো ১০ দশমিক ৬৯ সেন্টিমিটার। পাইবো বলছে, ভারী বৃষ্টি আর না হলে পানি ক্রমেই কমতে থাকবে। এতে নগরের নিচু এলাকা থেকেও পানি নেমে যাবে।
সিটি করপোরেশন জানায়, ভারী বৃষ্টিতে ও সুরমা উপচে সিলেট নগরের প্রায় ২৮টি ওয়ার্ড প্লাবিত হয়। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েন ১০ হাজার পরিবারের লাখো মানুষ। এ অবস্থায় নগরীর প্লাবিত এলাকাগুলোতে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্নের কথাও জানায় নগর কতৃর্পক্ষ।