রাস্তায় গাড়ি আটকিয়ে যুবলীগ নেতার চাঁদাবাজি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ জুন ২০২৪, ৮:১৭:৫২ অপরাহ্ন
কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ-শাহ আরেফিন রাস্তায় গাড়ি আটকিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে জুয়েল আহমদ নামের এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার চাঁদাবাজির অভিযোগে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কোম্পানীগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেন ছালিয়া বড় বাড়ীর সুলতান আহমদ।
২০১৬ সাল থেকে শাহ আরেফিন টিলার পাথর বোঝাই গাড়ি থেকে জুয়েল আহমদ তাদের বাড়ির সামনে চাঁদাবাজি করে আসছে। যা নিয়ে বেশ কয়েকবার ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই থেকে এখনো সে চাঁদাবাজি করে আসছে। আগে পাথর বোঝাই গাড়ি থেকে চাঁদাবাজি করলেও এখন যাত্রীবাহী গাড়ি থেকে চাঁদাবাজি করছে।
অভিযোগে সুলতান আহমদ উল্লেখ করেন ৩ জুন দুপুর আড়াইটায় মোটরসাইকেল দিয়ে ছাতকের নোয়াকুট গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় নোয়াগাঁও মসজিদে পশ্চিমে পৌছামাত্র নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে জুয়েল আহমদসহ ৩/৪ জন লোক নিয়ে লোহার রড ও বাঁশের লাঠি হাতে নিয়া পূর্ব থেকে রাস্তার উভয় পাশে দাঁড়িয়ে থাকাবস্থায় মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে। মোটরসাইকেল থামানোর সাথে সাথে জুয়েল আহমদ বলে এই রাস্তা আমার ব্যক্তিগত। এটা দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যেতে হলে যাওয়ার সময় ২০০ টাকা এবং আসার সময় ২০০ টাকা চাঁদা দিতে হবে। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় জুয়েল আহমদ বলে সবাই দেয় তুই দিবে না কেন। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে জুয়েল আহমদ ও তার সঙ্গীরা মারপিট করতে উদ্যত হয়। তখন নিরূপায় হয়ে জুয়েল আহমদকে ২০০ টাকা দিতে বাধ্য হই এবং ফিরে আসার সময় আরও ২০০ টাকা দিব মর্মে স্বীকার করি।
অভিযোগকারী সুলতান আহমদ জানান, এই রাস্তায় সব ধরনের গাড়ি থেকে তারা চাঁদাবাজি করে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায় না। জুয়েল নিজেকে যুবলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে রাস্তায় চাঁদাবাজি করছে। সে এই রাস্তায় চলাচলকারী ট্রলি গাড়ি থেকে ২শ থেকে ৫শ টাকা চাঁদা নিয়ে থাকে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলা উদ্দিন বলেন, কেউ ব্যক্তিগতভাবে অপরাধ করলে দল কোনভাবে এর দায় নিবে না। ব্যক্তির চেয়ে দল বড়। কারো ব্যক্তিগত অপরাধের সাথে কোম্পানীগঞ্জ যুবলীগ কোন ভাবে জড়িত নয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গোলাম দস্তগীর আহমদ জানান, চাঁদাবাজির একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করার জন্য একজন অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ জানান, অভিযোগের কপি পেয়েছি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করবো।