সিলেটের বন্যার পানি কমলেও সুরমা-কুশিয়ারা বিপদসীমায়
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ জুন ২০২৪, ৯:২৯:৫৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে বুধবার বেলা ৩টা পর্যন্ত জেলার সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর তিনটি স্থানে (পয়েন্টে) পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পাউবো জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি ১৩ দশমিক ১৬ মিটারে অবস্থান করছিল, যা বিপদসীমার শূন্য দশমিক ৪১ মিটার ওপরে। একইসময় কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ পয়েন্টে পানি ১৫ দশমিক ৪৮ মিটারে অবস্থান করছিল, যা বিপদসীমার শূন্য দশমিক ০৮ মিটার ওপরে। একইভাবে কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি ৯ দশমিক ৮৯ মিটারে অবস্থান করছিল, যা বিপদসীমার শূন্য দশমিক ৪৪ মিটার ওপরে। এর বাইরে জেলার অন্যান্য নদ-নদীর পানি কমেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশির ভাগ জায়গা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে জেলার জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার অনেক গ্রাম ও রাস্তাঘাট এখনো প্লাবিত। সিলেট সদর ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকা মঙ্গলবার নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, জেলার ১০টি উপজেলার ৭৮টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের ১৩টি ওয়ার্ড বন্যাকবলিত হয়েছে। প্লাবিত গ্রামের সংখ্যা ৮৩০। বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৫৭ হাজার ১৬২ মানুষ। জেলায় ৫৭১টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। বর্তমানে আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন ৪ হাজার ৫৫৭ জন। এর মধ্যে নগরেই আছেন চার হাজার।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান মঙ্গলবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে ত্রাণ এবং বিশুদ্ধ পানি বিতরণ কার্যক্রম চলমান আছে। এ ছাড়া বন্যার্তদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য ইউনিয়নভিত্তিক চিকিৎসক দল গঠন করা হয়েছে।
এদিকে, হাওরের জনপদ সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি না হলেও সুরমার পানি কানায় কানায় পূর্ণ বলে জানা গেছে। ভারতের ঢল কিংবা এক-দুই দিন অতিবৃষ্টি হলে হাওরে প্রবেশ করতে পারে পানি। ইতিমধ্যে ছাতকের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে গেছে।