জালালাবাদে সংবাদ প্রকাশের পর : ভেঙ্গে ফেলা হলো হেলে পড়া প্ল্যাটফরমের গার্ডওয়াল
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ জুন ২০২৪, ৭:৫৩:০৩ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি : অবশেষে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ পুনর্বাসন প্রকল্পের দক্ষিণভাগ স্টেশনের হেলে পড়া প্ল্যাটফরমের গার্ডওয়াল গত শুক্রবার ভেঙ্গে ফেলেছে। ১ জুন ঠিকাদারের লোকজন হেলে পড়া গার্ডওয়ালটি ক্রেনে ও তারের রশিতে টেনে সোজা করে মাটি দিয়ে ঢেকে রাখে। এ নিয়ে শনিবারের (২ জুন) দৈনিক জালালাবাদে ‘কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ স্থাপন প্রকল্প-আবারও হেলে পড়ল প্ল্যাটফরমের গার্ডওয়াল’ শিরোনামে একটি সংবাদ ছাপা হলে তোলপাড় শুরু হয়। বিষয়টি পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও রেলমন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের টনক নড়ে। এরপর ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘কালিন্দ রেল নির্মাণ’ এর প্রকল্প পরিচালক গার্ডওয়ালটি মেরামত করতে শুক্রবার শ্রমিক লাগিয়ে অভিনব কায়দায় মেরামত করা অংশ ভেঙ্গে ফেলেন।
জানা গেছে, কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের নির্মাণাধীন দক্ষিণভাগ রেল স্টেশনের প্ল্যাটফরমের ১০ ইঞ্চি গাঁথুনির গার্ডওয়ালের দক্ষিণ-পূর্বদিকের প্রায় ৩০ মিটার স্থান সম্প্রতি হেলে পড়ে ও ফাটল দেখা দেয়। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তা যথাযথভাবে মেরামতের উদ্যোগ না নিয়ে দেওয়ালের হেলে পড়া অংশে বাঁশের ঢিক, ক্রেনে টেনে ও তারের রশিতে টেনে সোজা করে মাটি দিয়ে ঢেকে ফেলে। এমন অভিনব কাজকারবার দেখে স্থানীয় লোকজনের মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়। স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন কাজের অনিয়মে দেওয়ালটি হেলে পড়ে ও ফাটল দেখা দেয়। তা সঠিকভাবে সংশোধন না করে ঢেকে ফেলা হয়। এতে পরবর্তীতে বড়ধরণের দুর্ঘটনা ঘটার ও সরকারের লাখ লাখ টাকা গচ্চা যাওয়ার আশংকা রয়েছে। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিতর্কিত মেরামত কাজের দেওয়ালটি ভেঙ্গে ফেলায় তারা বেশ খুশি। তবে তারা আংশিক নয় পুরো গার্ডওয়ালটি ভেঙ্গে ফেলে নতুন করে নির্মাণের দাবি জানান। এর আগে ২০২২ সালে একই প্ল্যাটফরমের পশ্চিমের অংশ কাজের অনিয়মে ভেঙ্গে পড়ে। যদিও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভারিবর্ষণে ধ্বসে পড়ার দোহাই দিয়ে তা ভেঙ্গে ফেলে নতুনভাবে নির্মাণ করেছিল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গত ১ জুন ক্রেন ও তারের রশিতে টেনে সোজা করা গার্ডওয়ালটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন ভেঙ্গে ফেলছে। হেলে পড়া ও ফাটল দেখা দেওয়া দেওয়াল ভেঙ্গে ফেলে নতুন করে নির্মাণ করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সেখানে কেন টেলে সোজা করে মাটি চাপা দেওয়া হলো জানতে চাইলে শ্রমিকরা জানান, স্যারেরা যখন যা বলেন, আমাদের তাই করতে হয়।