খেলাপি ঋণ এখন বিজনেস মডেল : ড. সালেহউদ্দিন
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ জুন ২০২৪, ৯:৪৭:০৭ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘খেলাপি ঋণ এখন দেশে একটা বিজনেস মডেল হয়ে গেছে। আপনি ব্যাংক থেকে ঋণ নেবেন, আর ফেরত দেবেন না, এই মডেল চলছে।’সোমবার সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ‘অর্থনীতির চালচিত্র ও প্রস্তাবিত বাজেট ২০২৪-২৫’ শীর্ষক এ সেমিনার হয় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, চ্যালেঞ্জিং সময়ে বাজেট দেয়া হয়েছে। অথচ এতে নতুনত্ব দেখছি না। আগের বাজেটের অংক শুধু এদিক-সেদিক করা হয়েছে। বলা হচ্ছে সংকোচনমূলক বাজেট, অথচ বাজেটের ঘাটতি তো সংকোচনমূলক মনে হয় না। আবার ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরতা বাড়ানো হয়েছে। সরকার যদি বেশি ঋণ নেয়, তাহলে বেসরকারি খাত কীভাবে ঋণ পাবে। আর ব্যক্তি খাত ঋণ না পেলে কর্মসংস্থান হবে কীভাবে। এ অবস্থায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত।
সাবেক এ গভর্নর বলেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। এ মুহূর্তে যা এক থেকে দেড় লাখ কোটি টাকার বেশি হওয়া উচিৎ নয়। নতুন করে ১ হাজার ২৮৫টি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এটা অর্ধেক করে দিলেই সরকারের ঋণ নির্ভরতা ও ঘাটতি কমবে। বাজেটের নীতি কৌশল ও দর্শনে বলিষ্ঠ কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না, যা এ সময়ের জন্য দরকার ছিল। এমনিতেই ব্যাংকের মরমর অবস্থা। সুশাসনের চরম ঘাটতি।
সালেহউদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, বাজেট করতে হবে পারফরম্যান্স নির্ভর। কিছু সংস্থা দরকার হলে বন্ধ করে দিতে হবে, কিছু সংস্থার জনবল কমাতে হবে। শুধু বাজেটের অংক এদিক-সেদিক করে কোনো লাভ নেই। কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে। সূর্যের আলোর মতো স্বচ্ছ হতে হবে। তখন বাজেট যে আকারই হোক, সমস্যা হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এ গভর্নর বলেন, মূল্যস্ফীতি যে পর্যায়ে গেছে এটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কেবল আইএমএফের ফর্মুলা মেনে সুদহার বৃদ্ধি, ডলারের দর বৃদ্ধি ও সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি দিয়ে হবে না। বাজার তদারকি বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে সরবরাহ বাড়াতে হবে। তা না করে কেবল সংকোচন করে কাজ হবে না।