নবীগঞ্জে জমে উঠছে পশুর হাট
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ জুন ২০২৪, ৬:০৭:১১ অপরাহ্ন
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি: আর মাত্র কয়েকদিন রয়েছে মুসলিম উম্মার দ্বিতীয় প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল আজহা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নবীগঞ্জ উপজেলাজুড়ে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নবীগঞ্জ পৌর এলাকার সালামতপুর, দিনারপুরের জনতার বাজার, ইনাতগঞ্জ সৈয়দপুর বাজার, নতুনবাজার, আউশকান্দি, কাজিগঞ্জবাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বসতে শুরু করছে পশুর হাট। হাটগুলো ক্রেতাদের পদচারণায় সরগরম থাকলেও দাম সাধ্যের বাইরে থাকায় অনেক ক্রেতাই দাম কমার অপেক্ষা করছেন। তবে, দুই একদিনের মধ্যে ক্রেতারা কোরবানির পশু কিনতে শুরু করবেন বলে মনে করছেন হাটে পশু বিক্রি করতে আসা ব্যবসায়ীরা।
নবীগঞ্জ পৌর এলাকার সালামতপুরে পশুর হাটে ঘুরে কথা হয় ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে। অন্যান্য বছরের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি মনে করছেন এ হাটে আসা ক্রেতারা। লোক সমাগম অনেক হলেও বেচাবিক্রি জমে উঠেনি বলে জানালেন একাধিক বিক্রেতারা। ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে পশুর হাটের ভিড়ও বাড়বে বলে মনে করেন তারা। শেষ মুহুর্তে আরো বেশি ভিড় বাড়বে এবং রাতব্যাপী পর্যন্ত বেচা-কেনা চলবে বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা ও গরুর বাজার কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, বাজারগুলোতে জাল টাকা শনাক্তকরণে কোনো যন্ত্র না থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে, ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি ছোঁয়ায় আরো একধাপ এগিয়ে জমে উঠেছে পশুর হাট। অনেকেই স্মার্ট ফোনে ফোর-জি, থ্রি জি নেটওয়ার্কের আওতায় ইমো, স্কাইপিসহ বিভিন্ন অ্যাপ এর মাধ্যমে ভিডিও কলে বিদেশে অথবা বাড়িতে থাকা স্বজনদের গরু দেখাচ্ছেন এবং তারা ভিডিও কলে গরু দেখে দেখে পছন্দ করছেন কোনটা কিনবেন। এ ছাড়াও অনেকেই গরুর ছবি তুলে হোয়াটস আপের মাধ্যমে তাদের স্বজনদের শেয়ার করছেন।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের মতিন মিয়া নামে এক বিক্রেতা জানান, সিলেটে বিভিন্ন জায়গায় আংশিক বন্যার কারণে গরুর বাজারে দুরের মানুষ আসতে না পারায় বাজারে অনেকটা ক্রেতা শুন্যতা দেখা যাচ্ছে। উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের আলম নামে এক ক্রেতা জানান, দেশীয় গরু কিনতে বাজারে এসেছি, বাজারে দাম খুব বেশি তাই কোরবানির গরু কিনতে হিমশিম খাচ্ছি। আগামী বাজারে দাম আরো কমতে পারে বলে মনে করেন তিনি। সালামতপুর বাজারে সাবু মিয়া এক গরু বিক্রেতা জানান, দীর্ঘদিন ধরে গরু লালন-পালন করেছি লাভের আশায়, যদি ভারতীয় গরু বাজারে না আসে তাহলে আমাদের দেশীয় গরুগুলো ন্যায্য মূল্য পাবো বলে আশাবাদী।
নবীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ সাইফুর রহমান জানান, নবীগঞ্জে পশু কোরবানি চাহিদা প্রায় ১৩ হাজার ৫শত যা লালন পালন হয়েছে সাড়ে ১৬ হাজারের বেশি পশু রয়েছে। ক্রেতারা গরু কিনতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।