৪ দশকে বায়ুদূষণে ১৩ কোটি মৃত্যু, সর্বোচ্চ এশিয়ায়
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ জুন ২০২৪, ৯:৩৬:১০ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: মানবসৃষ্ট কার্বন নির্গমন কিংবা দাবানলের মতো উৎস থেকে ছড়িয়ে পড়া দূষণ ৪০ বছরে বিশ্বজুড়ে প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়েছে। ১৯৮০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এইসব মৃত্যু হয়েছে। সিঙ্গাপুরের নানিয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির (এনটিইউ) এক গবেষণায় উঠে এসেছে এসব তথ্য। সোমবার প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এল নিনো এবং ভারত মহাসাগরের ডাইপোলের মতো আবহাওয়ার ঘটনাগুলো বাতাসে দূষণের ঘনত্বকে আরও তীব্র করে তুলছে। ফলে দূষণকারী অন্যান্য উপাদানের ওপর এর ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে। খবর এএফপির।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শুধুমাত্র বায়ুদূষণের কারণে প্রত্যেক বছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ৬৭ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। নতুন এই গবেষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গবেষকরা বলেছেন, বস্তুকণা পিএম-২.৫ এর ক্ষুদ্র কণাগুলো শ্বাসের মধ্য দিয়ে মানবদেহে প্রবেশ করছে। এই বস্তুকণা রক্ত প্রবাহে প্রবেশ করার মতো যথেষ্ট ছোট হওয়ায় তা ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে।
এনটিইউয়ের এশিয়ান স্কুল অব দ্য এনভায়রনমেন্টের সহযোগী অধ্যাপক স্টিভ ইম এই গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন যে বায়ুদূষণকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে আমাদের গবেষণার ফলাফলে সেই চিত্র উঠে এসেছে।
সিঙ্গাপুরের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়টির বায়ুর গুণমান ও জলবায়ুর ওপর চালানো এই গবেষণাকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বিস্তৃত ও বৃহৎ পরিসরের বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ এই গবেষণায় এনটিইউয়ের গবেষকরা স্বাস্থ্যের ওপর বস্তুকণা-২.৫ এর বিশাল প্রভাবের চিত্র হাজির করতে প্রায় ৪০ বছরের ডেটা ব্যবহার করেছেন।