বাকীতে বিড়ি না দেয়ায় যুবক হত্যা
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জুন ২০২৪, ৭:২৭:০০ অপরাহ্ন
তাহিরপুর প্রতিনিধি : বাকীতে বিড়ি না দেয়ায় ছুরিকাঘাতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় এমরান মিয়া (৩০) নামে এক যুবককে হত্যা করেছে প্রতিবেশী লিটন মিয়া। নিহত এমরান উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের হুসনারঘাট গ্রামের সাজিদ মিয়ার ছেলে। শুক্রবার সকাল ৬ টার দিকে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের হুসনারঘাট গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
ঘটনার পর ঘাতক লিটন মিয়া (৩৫) পালিয়ে যাবার সময় পাতারগাও ইসলামপুর বাজারে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে জনতা। সে হুসনারঘাট গ্রামের নিহত এমরানের বাড়ির পাশের বাসিন্দা বিল্লাল মিয়ার ছেলে। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাজিম উদ্দীন।
স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে ও নিহতের পিতা জানান, এমরানের বাড়িতে মোদি দোকানে তেল সাবানসহ বিভিন্ন মালামাল বিক্রি করা হয়। সকালে ঘাতক লিটন মিয়া এমরানের বাড়িতে গিয়ে বাকীতে বিড়ি চাইলে এমরানের মা মাজেদা বেগম লিটনকে জানান, আগের বাকি পরিশোধ না করলে তাকে আর কোনো বাকি দেওয়া হবে না। এ কথা শুনে লিটন মিয়া প্রথমে এমরানের মার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু করেন। পরে এমরান প্রতিবাদ করায় রাগান্বিত হয়ে যান লিটন। এ সময় লিটন মিয়া নিজের বাড়ি থেকে দা ও ছুরি এনে এমরানের মাথায় ও বুকে আঘাত করেন। পরে এমরানের মায়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে লিটন পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত এমরানকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ চাঁন মিয়া জানান, লিটন খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক। সে এর আগেও এলাকায় অনেককেই আঘাত করেছে। নিহত এমরানের বাবা চোখে দেখে না। তার ছোট ছোট তিনটি মেয়ে রয়েছে। তার স্ত্রী সন্তানসম্ভবা।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজিম উদ্দীন জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতককে আটক করা হয়েছে। হত্যায় ব্যবহৃত দা ও ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।