সুনামগঞ্জে হাওরের উপর ভাসছে গ্রাম
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ জুলাই ২০২৪, ৭:৪৮:১৪ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জে উজান ভাটির পানিতে শত শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে সীমান্ত এলাকার মানুষজনের ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন। যেন হাওরের পানির উপর ভাসছে গ্রাম। এদিকে, সুরমা নদীর পানি বাড়ে কমে। সকাল ৮ টায় বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল এবং এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নদীর পানি ১১ সে.মি. বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা গেছে, রাস্তাঘাট তলিয়ে গিয়ে আবারও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সুনামগঞ্জ সদর, জামালগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, মধ্যনগর, ছাতক উপজেলার নিম্নাঞ্চল। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। সুরমা নদীর তীরবর্তী সুনামগঞ্জ শহরের নবীনগর, ষোলঘর, লঞ্চঘাট, আরপিননগর, সাহেব বাড়ি ঘাট, বড়পাড়া, মল্লিকপুর, পশ্চিম হাজীপাড়া এলাকার রাস্তাঘাট ও অনেকের বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। পাহাড়ি ঢলের পানিতে দু’দিন ধরে সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়ক তলিয়ে আছে। এতে এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। জেলার ২০০টি আশ্রয়কেন্দ্রে সাড়ে ৯শ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
মল্লিকপুর এলাকার বাসিন্দা ফরিদ বলেন, পানি আমার বাসা ছুঁই ছুঁই। ক’দিন আগে বন্যা কবলিত হয়ে হোটেল থেকে বাসায় ফিরছি। এখন যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে আবারও বাসা ছাড়তে হবে কিনা চিন্তায় আছি।
গৌরারাং ইউনিয়নের বাসিন্দা সুমন বলেন, আমার কাঁচা ঘর। পানি ঢুকে পড়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলাম। এখন আবার আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছি। হাতে কাজ নেই, বেকার চলছি বন্যার পর থেকেই।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, সুনামগঞ্জ ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হওয়ার কারণে সুরমা ও যাদুকাটা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আরও একদিন মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে নদীর পানি বেড়ে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় আবারও বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা-উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে।