সুনামগঞ্জে জলাবদ্ধ বন্যা, ভোগান্তিতে হাওরপাড়ের মানুষ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ জুলাই ২০২৪, ৬:১৮:৪১ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জে নদীর পানি কমলেও জলাবদ্ধতায় হাওরের পানি কমছেনা। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাওর এলাকার বাসিন্দারা।
সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দেখার হাওর ও ঝাওয়ার হাওরের পানি ফুলে আছে এবং এ এলাকার বাসিন্দারা হাওরের পানিতে বন্দি আছেন। ঘর থেকে বেরোলেই নৌকা ছাড়া উপায় নেই। এছাড়া রয়েছে নৌকাডুবির শংকা। শহরের পাশে ইসলামপুর গ্রামের সাজাউরের সাথে কথা বলে জানা যায়, দেখার হাওরের পানি এখনও সমান সমান। পানি প্রবাহিত হচ্ছেনা কোথাও। শুরু থেকে যেভাবে দেখছি এখনও সেইভাবেই আছে। তিনি জানান, দখলে দুষনে হাওর ভরাট হয়ে গেছে। অপরিকল্পিতভাবে হাওরের বুক চিরে বাড়িঘর ও সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে পানি আটকে জলাবদ্ধতা দেখা দেয় এবং বাড়িঘরে জলাবদ্ধ বন্যার সৃষ্টি হয়। হাওর ভাটির জনপদকে উদ্ধার করতে হলে হাওর উদ্ধার করে পানি প্রবাহ সৃষ্টি করতে হবে। তবেই এ বন্যার কবল থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের মল্লিকপুর ও কালিপুর গ্রামগুলো দেখার হাওরের পাড়ে অবস্থিত। সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও এসব এলাকায় এখনও কোমর পানি রয়েছে। কালিপুর গ্রামের তাজুল ইসলাম জানান, ১৫ দিন ধরে পানির মাঝেই বাস করছি। পথে একটা দোকান ছিল সেটিও বন্ধ রয়েছে। গ্রামের চারপাশে পানি আর পানি। বিশুদ্ধ পানির সংকট রয়েছে গ্রামে। হাওর ভরাট হয়ে যাওয়ায় আমাদের এ দুর্গতি। এ বক্তব্য শুধু তাজুল ইসলামকে নয় হাওরের প্রত্যেকটা গ্রামের মানুষের। কালিপুরের আলী হোসেন বলেন, ঘর থেকে বেরোলেই নৌকা লাগে। অথচ সবখানে পানি কমে গেছে। আমাদের এ দুর্গতির শেষ কোথায় জানিনা। তিনি বলেন, হাওরের পানিতে আমরা ডুবে আছি। পানি নামছেনা। হাওরের পানি যাওয়ার রাস্তা বন্ধ। হাওরের পানি প্রবাহ ঠিক করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান তিনি।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার বললেন, সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি কমলেও নিচু এলাকা থেকে পানি নামতে কিছুদিন সময় লাগবে।