চিনি পাচারের ‘নিরাপদ রুট’ সিলেট
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জুলাই ২০২৪, ৫:৪০:৪০ অপরাহ্ন
অভিযানেও বন্ধ হচ্ছে না চোরাচালান
# সাত মাসে গ্রেফতার ১৩৬ # সাড়ে ১৩ কোটি টাকার চিনি জব্দ
এ টি এম তুরাব :
ভারত চোরাই চিনি চালানের নিরাপদ রুট হয়ে উঠেছে সিলেট। বড় বড় অভিযানেও থামছে না চিনি চোরাচালান। প্রতিদিন বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আসছে শত শত বস্তা চোরাই চিনি। কোনভাবেই থামছে না চোরাচালান। অভিযোগ রয়েছে, চিনি পচারাচালানের সঙ্গে স্থানীয় সরকারদলীয় নেতাকর্মী, সীমান্তরক্ষী বাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজনেরও যোগসাজশ রয়েছে। এ কারণে বন্ধ হচ্ছে না চোরাচালান।
সিলেট জেলা ও মহানগর পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে ১১ জুলাই পর্যন্ত চিনি চোরাচালানের ৬১টি মামলায় ১৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ৮৪টি যানবাহন। সর্বশেষ শনিবার ভোররাতে দিকে দক্ষিণ সুরমার জলকরকান্দি এলাকা থেকে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় উদ্ধার করে পুলিশ। এরআগে বৃহস্পতিবার ভোরে মহানগরীর শাহপরান এলাকা থেকে ছয়টি ট্রাকভর্তি এক কোটি ২০ হাজার কেজি চোরাই চিনি জব্দ করে পুলিশ। যার মূল্য এক কোটি ৪৪ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে বাহিনীটি।
জানা যায়, বাংলাদেশে খোলা বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হয় ১৩২ থেকে ১৪০ টাকা দরে। কিন্তু ভারত থেকে চোরাই পথে আসা চিনি ব্যবসায়ীরা কম দামে কিনতে পারেন, কারণ এতে কোনো শুল্ক দিতে হয় না। যদিও তাতে সরকার রাজস্ব হারায়।
সীমান্তের স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিলেট জেলার ছয়টি উপজেলা দিয়ে চিনি চোরাচালান হয়। এরমধ্যে কানাইঘাট সীমান্তের সুরাইঘাট, সনাতন পুঞ্জি, বড়বন্দের সিঙ্গারি পাট, খাইবাড়ি, বেলেরতল, লোভাচড়া চা বাগানের মঙ্গলপুর, লোভা নদী, মুলাগুল বড়গ্রামসহ সীমান্ত এলাকা দিয়ে চিনি নামে। গোয়াইনঘাটের জাফলং, বিছনাকান্দিসহ পুরো সীমান্ত এলাকা দিয়েই চিনি আসছে।
জৈন্তাপুরের মোকামবাড়ী, মোকামপুঞ্জি, কেন্দ্রীয়, ডিবির হাওর, ঘিলাতৈল, ফুলবাড়ী, টিপরাখলা, কমলাবাড়ী, গোয়াবাড়ী, বাইরাখেল, বাঘছড়া, তুমইর, রাবারবাগান, বালীদাঁড়া এলাকা দিয়ে চিনি আনেন চোরা কারবারিরা। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নারাইনপুর ছনবাড়ী, বরমসিদ্দিপুর ও মাঝেরগাঁও সীমান্ত এলাকা এবং কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ সীমান্তের কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে চিনি আসে। বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের গজুকাটা ও মুড়িয়া ইউনিয়নের সারোপাড় সীমান্ত দিয়ে চিনি নামে। এসব চিনির একটি বড় অংশই আসে সিলেট নগরীর কালীঘাট পাইকারি বাজারে। সেখান থেকে ট্রাকে ট্রাকে চিনি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যায়। সম্প্রতি গোয়াইনঘাটের পিয়াইন নদীতে গিয়েও ট্রলারভর্তি ভারতীয় চোরাচালানের চিনি দেখা গেছে।
চোরাকারবার সম্পর্কে ধারণা রাখেন, এমন একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সীমান্তের ওপারে ৫০ কেজির চিনির বস্তা বিক্রি হয় বাংলাদেশি ৩ হাজার ৪০০ টাকায়। প্রতি বস্তা চিনি সীমান্তের এপারে আনতে শ্রমিক ও ‘অন্যান্য’ খরচ বাবদ আরো ২০০ টাকা যায়। তারপর সেগুলো ট্রাকে বা পিকআপে করে সিলেট নগরীতে আসে। প্রতিটি ট্রাকের (২৫০ বস্তা) জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাইনম্যানকে দিতে হয় ২৫ হাজার টাকা, আর পিকআপের জন্য (৫০ বস্তা) পাঁচ হাজার টাকা। এর সঙ্গে যুক্ত হয় ট্রাক বা পিকআপ ভাড়া। ভারতেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বস্তাপ্রতি টাকা দিতে হয়। সব মিলিয়ে চোরা কারবারিদের প্রতি বস্তা চিনির দাম পড়ে ৪ হাজার টাকার মত। পরিস্থিতি অনুযায়ী সেটা কমবেশি হয়। সেই চিনি বস্তা প্রতি সিলেটের ব্যবসায়ীদের কাছে সাড়ে চার হাজার থেকে চার হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। এভাবে চিনি কিনলে ব্যবসায়ীদের প্রতি কেজিতে দাম পড়ে ৯০ টাকার মত।
নগরীর পাইকারি বাজার কালীঘাটের এক ব্যবসায়ী বলেন, ভারতীয় ৫০ কেজি চিনির বস্তা ৪ হাজার ৭০০ থেকে ৫ হাজার টাকা কেনা যায়। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হয় সবোর্চ্চ ৫ হাজার ১৫০ টাকায়। তবে চিনি ভেজা হলে দাম কমে যায়। বন্যার কারণে অনেকে ভেজা চিনি বিক্রি করেন। আর বর্ডারের সবদিকে চিনি নামার কারণে আগের থেকে লাভ কম হয়। আগে চিনির ব্যবসায় লাভ বেশি ছিল।
পুলিশের কাছে কত চিনি : সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ছয়টি থানায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত চিনি চোরাচালানের ৪৯টি মামলায় ৫৬ জনকে গ্রেফতার এবং পরিবহনে জড়িত ৫৭টি যানবাহন আটক করেছে। এ সময় ৫ লাখ ২৮ হাজার ৪৪৮ কেজি ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আর মহানগর ডিবি পুলিশ ১৮টি মামলায় ৫৭ জনকে গ্রেফতার এবং ২৮টি যানবাহন আটক করেছে। এ সময় তিন লাখ ৫৭ হাজার ৬৩৪ কেজি চিনি জব্দ করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য ৪ কোটি ৪১ লাখ ৫৭ হাজার ১৮০ টাকা।
সিলেট জেলা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ মাসে চিনি চোরাচালানের ১১টি মামলায় ২২ আসামির মধ্যে ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক চিনির পরিমাণ ২০ হাজার ৫১২ কেজি। যার আনুমানিক মূল্য ২১ লাখ ৯৬ হাজার ২০০ টাকা। আর আটক যানবাহনের সংখ্যা ১০টি। এপ্রিল মাসে দুটি মামলায় চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আটক চিনির পারিমাণ এক হাজার ৯০২ কেজি; যার আনুমানিক মূল্য ২ লাখ ৪২ হাজার ৫১০ টাকা। যানবাহনের সংখ্যা একটি। মে মাসে ৮টি মামলায় ১৬ আসামির মধ্যে ১৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আটক চিনির পরিমাণ ২৮ হাজার ১৬৮ কেজি। যার বাজারমূল্য ২৭ লাখ ৫ হাজার ৪৪০ টাকা। যানবাহনের সংখ্যা দুটি। জুন মাসে চিনি চোরাচালানের তিনটি মামলায় ১০ আসামির মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। আটক করা হয় ১৫ হাজার ৩৫০ কেজি চিনি। যার বাজারমূল্য ১৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। আটক হওয়া যানবাহন পাঁচটি।
চিনি চোরাচালানে ছাত্রলীগের নাম : সম্প্রতি প্রায় দেড় টন চিনি লুটের ঘটনায় ছাত্রলীগের দুই নেতার ফোনালাপ ফাঁস হলে আলোচনা-সমালোচনার মুখে ১৪ জুন কেন্দ্রীয় সংগঠনের নির্দেশে বিয়ানীবাজার উপজেলা ও পৌর শাখা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ওই ঘটনায় চিনির মালিক বদরুল ইসলাম বিয়ানীবাজার থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৭ থেকে আটজনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক তাহমিদ ও পৌর ছাত্রলীগের সদ্যসাবেক সভাপতি আশরাফুল আলম শাকেলসহ মোট চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া ৮০ বস্তা চিনি উদ্ধার ও একটি পিকআপ জব্দ করা হয়।
এরপর ৬ জুন পাচারের সময় নগরীর কোম্পানীগঞ্জ-জালালাবাদ সড়কের উমাইরগাঁও এলাকার থেকে ১৪ ট্রাক চোরাই চিনি জব্দ করে মহনগর পুলিশ। এ ঘটনার পর উঠে আসে যুবলীগ নেতাদের নাম। একই দিন শায়েন্তাগঞ্জে আরও পাঁচ ট্রাক চিনি জব্দ করা হয়। এর পর থেকেই সিলেটে প্রায় প্রতিদিনই জব্দ হচ্ছে ভারতীয় চিনি।
১৩ জুন রাতে চোরাই চিনি ছিনতাইকালে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীসহ ৭জনকে গ্রেফতার করে নগর পুলিশ। একইদিন জকিগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জ এলাকায় চোরাই চিনি ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের ৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। পরে বিষয়টি নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়।
১৫ জুন জৈন্তাপুরে ৮৫৫ বস্তা ভারতীয় চোরাই চিনিসহ ১১টি পিকঅ্যাপ ও একটি মিনি ট্রাক আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি। ২৩ জুন সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের তামাবিল সোনা টিলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৫৪ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন। চলতি মাসে কয়েকবার বালু-পাথর বোঝাই ট্রাকে করেও চিনি পাচারকালে নগর পুলিশ আটক করেছে।
২৯ জুন নগরীর আম্বরখানা থেকে ৫ হাজার ৮৫০ কেজি চোরাই চিনি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় চিনি বহনকারী একটি ট্রাক জব্দ করা হয়। উদ্ধার হওয়া চিনির বাজার মূল্য ৭০ হাজার ২০০টাকা। একই দিন পৃথক আরো একটি অভিযানে আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে ১১৭ বস্তা ভারতীয় চিনি সহ ১টি ট্রাক জব্দ করে পুলিশ।
৩ জুলাই সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এয়ারপোট থানাধীন কাকুয়ারপাড় ২৯৫ বস্তা চোরাই চিনিসহ দুই চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় চোরাই মালামালবহনকারী ২টি ট্রাক জব্দ করা হয়। জব্দকৃত চিনির বাজার মূল্য ১৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
৬ জুলাই মোগলাবাজার থানাধীন পারাইচক এলাকা থেকে ১৫ হাজার কেজি চিনিসহ এক চোরাকারবারিকে আটক করে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া চিনির বাজার মূল্য ১৮ লাখ টাকা। এ ঘটনায় একটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
৮ জুলাই ভোর ৫টায় শিববাড়ী এলাকা থেকে ৩৩৪ বস্তা ভারতীয় চিনি ১ জন চোরাকারবারীকে আটক করে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া ১৬ হাজার ৭০০ কেজি চিনির বাজার মূল্য ২০ লাখ ৪ হাজার টাকা। এ সময় চোরাই কাজে বহনকার একটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
একই দিন দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ধোপাগুল এলাকা থেকে ৪৪ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। এ সময় চোরাই মালামাল বহনকারী একটি ট্রাক জব্দ করা হয়। উদ্ধার হওয়া চিনির বাজার মূল্য ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৬০ টাকা।
ওইদিন পৃথক আরো একটি অভিযানে লাক্কাতুরা বাজার থেকে ১০ বস্তা চোরাই চিনিসহ এক চোরাকারবারিকে আটক করে ডিবি। এ সময় চোরাই মালামাল বহনকারী একটি সিএনজি অটোরিকশা ট্রাক জব্দ করা হয়।
৯ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এয়ারপোর্ট থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নুনু মিয়ার নির্দেশে এয়ারপোর্ট থানাধীন ধোপাগুল কেওয়াছড়া চা-বাগানের এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫৫ বস্তা ভারতীয় চোরাই চিনিসহ এক জনকে আটক করে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া চিনি মূল্য ৩ লাখ ১৬ হাজার ৮০০টাকা।
১১ জুলাই ভোর সাড়ে ৪টায় শাহপরান (রহঃ) থানাধীন সুরমা গেইট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪০০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করে। ১৯ হাজার ৬০০ কেজি চিনির বাজার মূল্য ২৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা। এ ঘটনায় দুই চোরাকারবারিকে আটক করে পুলিশ। একই দিন বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে নগরীর খাসদবির এলাকা রুপসা আবাসিক এলাকায় ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪৬ বস্তা চোরাই চিনিসহ ৩ চোরাকারবারিকে আটক করে। এ সময় একটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
ওইদিন পৃথক আরো একটি অভিযান চালিয়ে নগরীর কালিঘাট কালিমন্দিরের পাশে অভিযান চালিয়ে একটি পিকআপসহ ৬০ বস্তা চিনি জব্দ করা হয়। এছাড়া একই দিন ভোর ৫টায় শাহপরান থানা এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভারতীয় চিনি বোঝাই ৬টি ট্রাক আটক করা হয়। এ সময় ৫ চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জব্দকৃত ১ লাখ কেজি চিনির বাজার মূল্য ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
সীমান্তে নজর : চিনি চোরাচালানের ব্যাপারে জানতে চাইলে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, মহানগর এলাকায় কোনো বর্ডার নেই। বর্ডার এলাকা পেরিয়ে নগরে প্রবেশ করলে মহানগর পুলিশ তা ধরছে। অভিযান অব্যাহত এবং এ ধরনের কর্মকাÐের বিরুদ্ধে মহানগর পুলিশের কার্যক্রম চলবে।
সিলেটের নবাগত পুলিশ সুপার মো: আব্দুল মান্নান দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, চোরাচালান প্রতিরোধে জেলা পুলিশ সবসময় সর্তক অবস্থানে রয়েছে, নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। সিলেটের সীমান্তবর্তী থানা এলাকাগুলোতেও নজর রাখা হচ্ছে জানিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, পুলিশের ভ‚মিকা নিয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ থাকলে তদন্ত করা হয়।