নাগরিক আলেম সমাজের গণধিক্কার কর্মসূচি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ আগস্ট ২০২৪, ৭:৪৮:৫৭ অপরাহ্ন
জুলাই গণহত্যা, ছাত্রজনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি, গণগ্রেপ্তার ও নির্যাতনের প্রতিবাদে সিলেটে পালিত হয়েছে গণধিক্কার কর্মসূচি। শনিবার বিকেলে নগরের বন্দরবাজার এলাকায় ‘নাগরিক আলেম সমাজ’-এর উদ্যোগে এ আয়োজনে সর্বস্তরের ছাত্রজনতা ও আলেমরা অংশ নেন। কর্মসূচি থেকে সকল হত্যাকা-ের তীব্র নিন্দা ও আন্তর্জাতিক তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানানো হয়।
সমন্বয়ক মুতিউল মুরসালিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখানে নাগরিক আলেম সমাজের প্রধান সমন্বয়ক নোমান বিন আরমান, সমন্বয়ক মাওলানা হাসান ফয়েজ, লেখক হক নাওয়াজ, লেখক হুসাইন ফাহিম, মাওলানা আদিব আহমদ, লেখক কবির আহমদ খান, ছাত্রনেতা আবু তাহের। এছাড়াও কর্মসূচিতে একাত্মতা জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্দুল্লাহ মনসুর, মাওলানা আলাউদ্দিন, মাওলানা আসলাম ফুয়াদ, মিনহাজুস সিরাজ, মাওলানা আমজাদ আহমদ, মাওলানা আরিফুর রশিদ, সংগঠক যুবায়ের মুহাম্মদ, ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ নোমান, আরশাদ শামসী, নুর উদ্দিন নোমান, যায়েদ রাহমান, মুজিবুর রহমান খান প্রমূখ।
গণধিক্কারে প্রধান সমন্বয়ক নোমান বিন আরমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ছাত্রজনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। ঘরের মধ্যে থাকা নিষ্পাপ শিশুদের জীবন গিয়েছে সরকারি বাহিনীর বুলেটে। ঘর থেকে রাজপথ কোথাও নিরাপদ নয় মানুষ। এরপরও প্রধানমন্ত্রী বলেন তাঁর দোষটা কী! এতগুলো মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতা ও দায়িত্বহীন কথাবার্তার কারণে তাঁর শাসনের প্রতি জনগণের বুকে দ্রোহ আর ধিক্কার জন্ম নিয়েছে। অনিরাপদ অবস্থায় একটি দেশ চলতে পারে না। কর্মসূচি থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ন্যায্য সকল দাবির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে নাগরিক আলেমসমাজ।