সংঘাত এড়াতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করা হয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ আগস্ট ২০২৪, ৮:০১:০৫ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: উত্তেজনা ও সংঘাত এড়াতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। রোববার বিকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, সরকারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শান্তির পক্ষে থাকলেও রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যায়, নারায়নগঞ্জ ডিসি, এসপি অফিস, আাদালত, আওয়ামী লীগের স্থানীয় কিছু অফিসে ভাঙচুরসহ অগ্নিসন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। কোটা সংস্কারসহ সব দাবি মেনে নেয়ার পরেও এক দফা দাবির মতো রাজনৈতিক দাবি বাস্তবায়নে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানো হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা ডাক দিলে সবাই রাজপথে নেমে আসবে। ২৮শে অক্টোবর যাদের মোকাবিলা করেছি তারা আবারও সামনে চলে আসছে। রাজনৈতিকভাবেই এই পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনগণের মধ্যে আন্দোলনের সাড়া না পেয়ে আজ সহিংসতা-সন্ত্রাস করে দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় বিএনপি। তাদের পুরোনো দাবির সঙ্গে আন্দোলকারীরাও একাত্মতা ঘোষণা করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক হলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। রোববার দুপুর থেকে শিক্ষার্থীরা হলগুলো দখলে নেন। শুরুতে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলসহ কয়েকটি হলের তালা ভেঙে শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশ করেন। এরপর অন্যান্য হলেও শিক্ষার্থীরা প্রবেশের চেষ্টা করলে তালা খুলে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। শুরুতে হলপাড়ার পাঁচটি হলে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর একে একে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, এসএম হলসহ অন্য হলগুলোতেও প্রবেশ করেন তারা। তবে মেয়েদের কোনো হলে প্রবেশ করার খবর পাওয়া যায়নি। শিক্ষার্থীরা জানান, তারা দিনভর আন্দোলন করবেন আর রাতে হলে অবস্থান করবেন। উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই অনির্দিষ্টকালের জন্য হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়। শিক্ষার্থীদের সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় হল বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়।