বিদ্যালয়ে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ১৫ ফিলিস্তিনি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ আগস্ট ২০২৪, ৮:৩০:৪৭ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আবারও একটি বিদ্যালয়ে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শনিবার শেখ রাদওয়ান নামক এলাকার একটি বিদ্যালয়ে এই হামলা হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পূর্বে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় এক হামাস কমান্ডারসহ ৯ যোদ্ধা নিহত হন। হামাসকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, হামাস সদস্যদের আশ্রয় ও অস্ত্র উৎপাদনের জন্য বিদ্যালয়ের স্থাপনাটি ব্যবহৃত হচ্ছিল। তবে বিদ্যালয় ও হাসপাতালের মতো বেসামরিক সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান হতে সামরিক কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে হামাস।
এদিকে, গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় শনিবারে আরেক হামলায় রাফার দক্ষিণে একটি বাড়িতে ৬ জন এবং গাজায় ২ জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের দাবি, রাফা ও এর আশেপাশের এলাকায় কেবল হামাসের স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে তারা।
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৯ হাজার ৫৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণে আক্রমণ করে হামাস। এই প্রেক্ষাপটে নতুনভাবে সংঘর্ষ শুরু হয়। হামাসের আক্রমণে অন্তত ১২০০ জন নিহত ও ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়েছে বলে ইসরায়েল দাবি করে আসছে।
এদিকে শনিবার ইসরায়েলের একটি কূটনৈতিক দল গাজায় অস্ত্রবিরতি চুক্তির বিষয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে কায়রো সফর করেছে। মিসরীয় বিমান কর্তৃপক্ষ ও ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের বরাতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে অস্ত্রবিরতি চুক্তি কার্যকর করার সদিচ্ছা নিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও হামাস পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে আসছে। চলতি বছরের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজায় সংঘর্ষ বন্ধে একটি রূপরেখা প্রস্তাব করেন।
সম্প্রতি পৃথক হামলায় হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়েহ ও হিজবুল্লাহর একজন জ্যেষ্ঠ নেতা ফুয়াদ শুক্র নিহত হন। এতে মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। চলমান ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘর্ষে হানিয়েহর মতো আরও বেশ কয়েকজন হামাস নেতাকে হত্যা করা হয়। এসব হত্যাকা- মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক পরিসরে যুদ্ধের আশঙ্কাকে উসকে দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, গাজায় অস্ত্রবিরতির জন্য ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টেফানি সোওর্ন ও ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ল্যামির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এছাড়া, মিসর ও ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী উত্তেজনা প্রশমনে ইরানের প্রতি আহ্বান জানান।