মৌলভীবাজারে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত দেড় শতাধিক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ আগস্ট ২০২৪, ৮:০১:৫০ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: সারাদেশের সাথে একদফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা রোববার মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের সামনে জড়ো হয়ে আদালত সড়ক এলাকার সাকুরা মার্কেটের সামনে আসা মাত্র শিক্ষার্থীদের বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশি বাধা অতিক্রম করে মিছিল সহকারে শহরের চৌমুহনায় এলাকায় পৌছালে তাদের উপর ছাত্রলীগ, যুবলীগ হামলা চালায় ও ব্যাপক মারধর করে। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পিছু হটে। কিছুক্ষণ পর সুসংগঠিত হয়ে অন্তত ৪ থেকে ৫টি গ্রুপে শহরের চৌমুহনা এলাকায় অবস্থানকারী ছাত্রলীগ ও যুবলীগের উপর হামলা চালায়। পরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রুপ নেয়। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় চৌমুহনা এলাকা। দুপুর ১২টা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়ে চলে আড়াইটা পর্যন্ত। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের শতাধিক আহত হন। পরে আন্দোলনকারীরা শহরের চৌমুহনা এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং মিছিল করে। সংঘর্ষ চলাকালে ৮টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ, ৫টি গাড়িসহ পুলিশ বক্স ভাংচুর করা হয়। এসময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকারী সাংবাদিক এসএম উমেদ আলী, এম এ হামিদ, রাজন আহমদ, মাহবুবুর রহমান রাহেল, সালেহ এলাহী কুটিসহ ৮ সাংবাদিককে কুপিয়ে আহত করে ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতাকর্মীরা। বিষয়টি এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন আহত সাংবাদিক এমএ হামিদ। এ সময় সাংবাদিকের মুঠোফোন ও ক্যামেরা কেড়ে নেয়া হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে। পরে সকল বাধা উপেক্ষা করে ছাত্ররা চৌুহনাস্থ সেন্ট্রাল রোডে আ’লীগের সভাস্থল ভাংচুর করে তাদের হটিয়ে দেয়। পরে সেনাবাহিনীর দুটি গাড়ি এলে আন্দোলকারীদের মিছিলের মুখে পড়ে পিছু হটে স্থান ত্যাগ করে।