বন্যার পানি নেমে গেলেও ক্ষতচিহ্ন রেখে গেছে ৫ কোটি টাকার
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ আগস্ট ২০২৪, ৮:০৩:১৯ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কুশিয়ারা নদীর পানি কমে গেলেও ক্ষতচিহ্ন রেখে গেছে প্রায় ৫ কোটি টাকার। রোববার নদীর রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের শাহাপুর ও বেড়কুড়ি এলাকায় গেলে এমন চিত্র ফুটে উঠে। এসময় নদ পাড়ের খেটে খাওয়া ও দিনমজুররা জানান, দীর্ঘ প্রায় ৩ মাস ধরে লাগাতার বন্যার পানির অনেকটা উন্নতি হলেও তাদের ঘরের বেড়া, দরজাসহ মূল্যবান অনেক কিছু বানের জলে ধসে পড়েছে। এসব ঘরবাড়ির বহু জায়গা থেকে নদীতে পানি নিষ্কাসন না হওয়াতে চারিদিকে পঁচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে বয়োবৃদ্ধ ও শিশুরা নানা রোগবালাই-এ আক্রান্ত হচ্ছেন।
এলাকার বহু মানুষ আরও জানান, এই বন্যায় কুশিয়ারা পাড়ের মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলার ৪ ইউনিয়নের প্রায় ১ হাজার কাচা স্থাপনা নষ্ট হয়েছে। শাহাপুর গ্রামের সুরমান আলীর স্ত্রী এলেজা বেগম, আলী আমজদ, শিবলি মিয়া ও ক্যান্সারে আক্রান্তের ভাই দিন মজুর তাহিদ আলী বলেন, দীর্ঘদিনের লাগাতার বন্যায় তাদের কাঁচা ঘরগুলোর দরজা, বেড়া ও অন্যান্য জিনিসপত্র ধসে পড়েছে। এতে তারা মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
স্থানীয়রা আরও বলেন, কুশিয়ারা পাড়ের উত্তরভাগ, ফতেপুর, মনুমুখ ও আখাইলকুড়া ইউনিয়নে নদী পাড়ে প্রায় ১ হাজার ঘরবাড়ির এরকম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এদিকে স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও একাধিক ব্যক্তি বলেন, এই ক্ষতস্থানগুলো দেখতে বা সহায়তা করতে নদী পাড়ে এখনো কোন জনপ্রতিনিধি আসেননি।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কুশিয়ারা পাড়ের খলিলপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য রাজন আহমদ বলেন, তার ওয়ার্ডে ঘরবাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত ২শ পরিবার রয়েছে। ক্ষতি পোষাতে এখনো সরকারিভাবে কোন সাহায্য আসেনি।
নদী পাড়ের রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউপি সদস্য এমদাদুল হক টিটু বলেন, তার ওয়ার্ডে ৬শ ৩০ পরিবার বন্যায় সরাসরি ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ঘর বাড়ি মেরামতে এখনো কেউ সরকারি সহায়তা পাননি। একই উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ ওলিউর রহমান বলেন, তার ওয়ার্ডে ৫০ টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের কেউ কোন সহায়তা পাননি।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা নাসরিন চৌধুরী রোববার এ প্রতিবেদককে বলেন, কুশিয়ারা নদী পাড়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক সহায়তার জন্য সরকারি সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে আমরা একটি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। সহায়তা এলে তাদের হাতে পৌঁছে দেয়া হবে।