হাসিনার চূড়ান্ত গন্তব্য নিয়ে অস্পষ্টতা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ আগস্ট ২০২৪, ১০:৩১:১২ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর তার চূড়ান্ত গন্তব্য কোথায় বা কোন দেশে, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বিবিসি বাংলার শুভজ্যোতি ঘোষকে জানায়, প্রথমে ভারতে এলেও এখানে তিনি থাকছেন না।
ইন্ডিয়া টুডের লাইভে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লির কাছের গাজিয়াবাদে (উত্তর প্রদেশ) সেনাবাহিনীর হিন্দন বিমানঘাঁটিতে স্থানীয় সময় ৫টা ৩৬ মিনিটে অবতরণ করে শেখ হাসিনার বিমান। ভারতের সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা তাঁকে স্বাগত জানান। সেখান থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। একটি সূত্র জানিয়েছে, শেখ হাসিনা কয়েকদিন দিল্লিতে থাকবেন। এরপর তিনি লন্ডনে যাবেন।
এর আগে ভারতের একজন কর্মকর্তা স্থানীয় সময় বেলা ৩টা নাগাদ বিবিসির কাছে এই তথ্য নিশ্চিত করেন যে শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা দুজনেই ভারতে (বা ভারতের আকাশসীমায়) প্রবেশ করেছেন।
আন্তর্জাতিক বিমান ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডারে বেলা সাড়ে ৩টা নাগাদ দেখা যায় যে, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি সিজে-৩০ পরিবহন এয়ারক্র্যাফট ভারতের ধানবাদ শহরের ওপর দিয়ে উড়ছে এবং উত্তর ভারতের দিকে এগোচ্ছে। তবে সেই বিমানটি কোথা থেকে রওনা হয়েছে বা কোথায় যাচ্ছে, সে ব্যাপারে ফ্লাইটরাডারে কোনও তথ্য ছিল না।
বোঝাই যাচ্ছিল এটি একটি অনির্ধারিত ফ্লাইট। বিকেল ৫টা নাগাদ দিল্লির কাছে হিন্ডন সামরিক এয়ারবেসে আরও একটি সিজে-৩০ অবতরণ করে, তবে এই দুটি একই বিমান কি না তা স্পষ্ট নয়। ওই বিমানটিতেই শেখ হাসিনা ছিলেন কি না, সেটাও পরিষ্কার নয়।
তবে তিনি প্রথমে কোথায় অবতরণ করেন, তারপরে কোন শহরের উদ্দেশে রওনা দেন-সে ব্যাপারে কিছুই জানা যায়নি বা সরকারি পর্যায়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। সাউথ ব্লকের একটি সূত্র শুধু জানায়, ভারতে এই মুহূর্তে পার্লামেন্টের অধিবেশন চলছে। ফলে এ ব্যাপারে যা বলার, সবার আগে সরকার সভাতেই বলবে, কিংবা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দেবে। আপনারা ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তবে ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬টাতেও পার্লামেন্টে বা পার্লামেন্টের বাইরে এ বিষয়ে কোনও বিবৃতি আসেনি।