সিলেট মহানগর জামায়াতের শোকরানা মিছিল
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ আগস্ট ২০২৪, ১০:৩৯:৫৫ অপরাহ্ন
ছাত্রজনতার ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে বাংলাদেশ স্বৈরশাসক মুক্ত হয়েছে
সিলেট মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ছাত্রজনতার ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম ও শতশত শহীদের রক্তের বিনিময়ে প্রিয় বাংলাদেশ স্বৈরশাসকের কবল থেকে মুক্ত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের শুধু লজ্জাজনক পতনই হয়নি, খুনী হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের মানুষ আবারো স্বৈরাচারী শাসকের নিষ্ঠুর পরিণতি দেখেছে। এ বিজয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয়, এ বিজয় ছাত্রজনতার বিজয়, এ বিজয় মুক্তিকামী মানুষের বিজয়। আদালতের অজুহাত না দিয়ে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে নির্বাহী আদেশে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলী, সহকারী সেক্রেটারী এডভোকেট আব্দুর রবকে মুক্তি দিতে হবে। রক্ত¯œাত এই বিজয়কে অর্থবহ করতে দেশপ্রেমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের সকল ধর্মের মানুষ ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সমৃদ্ধ দেশ ও জাতি গঠনে জামায়াতের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ইনশাআল্লাহ।
সোমবার রাতে সিলেট মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে নগরীতে এক বিশাল শোকরানা মিছিল বের করা হয়। মিছিল পুর্ব সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন। মিছিলটি নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে ফের চৌহাট্টা পয়েন্টে গিয়ে সমাপ্ত হয়। মহানগর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মাওলানা সোহেল আহমদের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী ড. নুরুল ইসলাম বাবুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মিছিল পূর্ব সমাবেশে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মিছিল পুর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সিলেট অঞ্চল জামায়াতের টীম সদস্য হাফিজ আব্দুল হাই হারুন, সিলেট জেলা উত্তর জামায়াতের আমীর হাফিজ আনওয়ার হোসাইন খান, নায়েবে আমীর সৈয়দ ফয়জুল্লাহ বাহার, জেলা দক্ষিণের সেক্রেটারী জয়নাল আবেদীন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর সভাপতি শরীফ মাহমুদ ও সেক্রেটারী শাহীন আহমদ প্রমূখ। দেশ ও জাতির জন্য বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম মাদানী।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী বাকশালীরা ষড়যন্ত্র ও অগণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতায় এসে দীর্ঘ ১৬ বছর দেশে অপশাসন ও দুঃশাসন চালিয়েছে। তারা গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়ে দেশে একদলীয় ও বাকশালী শাসন কায়েম করেছিল। তারা জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করে জনগণের ওপর অবর্ণনীয় জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। তারা গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ ও ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্যই বেশকিছু গণমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে। বিনাভোটের সরকার দেশকে দুর্নীতি ও লুটপাটের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে। যা আমাদের দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাকেই রীতিমত হুমকীর মুখে ঠেলে দিয়েছে। কিন্তু এবার ছাত্রজনতা যুগপৎভাবে ফুঁসে উঠেছিল বিধায় তাদের লজ্জাজনকভাবে বিদায় নিতে হয়েছে। যা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষাসহ দেশকে অপশাসন-দুঃশাসন থেকে মুক্ত করেছে। এই সংগ্রামে স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশের ছাত্রসমাজ, শিক্ষকসমাজ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, আইনজীবী, কবি-সাহিত্যিক, সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ এবং রাজনৈতিক দলসমূহ এই আন্দোলনকে সফল করে তোলার জন্য যে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন সকলের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। এবার সম্মিলিতভাবে দেশটাকে এগিয়ে নিতে হবে। বিজ্ঞপ্তি